অনলাইন ডেস্ক : পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং ডিসেম্বরে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে, পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়ন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনটি বিষয়ে পরীক্ষার ভিত্তিতে বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন নির্ধারণ হবে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে। আর যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট ও বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। অথবা শুধু বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমেও মূল্যায়ন হতে পারে। সেটি পরে জানানো হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের পর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এতে বলা হয়, বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিখন ফল অর্জনের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের কোনো অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবশ্যিক বিষয়সমূহের নম্বর জেএসসি বা জেডিসি বা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে নম্বর প্রদান করা হবে। এ ছাড়া উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রুপভিত্তিক বিষয়সমূহের মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে কারণে গ্রুপভিত্তিক বিষয়সমূহের মূল্যায়ন জরুরি।
এতে আরও জানানো হয়েছে, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার্থীদের আগামী রোববার (১৮ জুলাই) থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হবে। ১২ সপ্তাহে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর প্রতি সপ্তাহে ২টি করে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার্থীদের আগামী ২৬ জুলাই থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হবে। ১৫ সপ্তাহে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে (৬টি পত্রে) প্রতিটি পত্রে ৫টি করে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায় পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পূর্ববর্তী জেএসসি বা জেডিসি বা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে অথবা শুধু সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসন্ন ঈদুল আজহার পর এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ অনলাইনে শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply