অনলাইন ডেস্ক : মুখের ভিতর আলসার খুব পরিচিত একটি রোগ। কখনও কামড় খেলে,শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিতে, কখনও দুর্ঘটনার জন্য আবার কখনওবা ঠাণ্ডা থেকে এই আলসারের সমস্যা হতে পারে। মুখের ভিতরে আলসার হলে প্রথমত খাওয়া-দাওয়া করতে সমস্যা হয়, আবার অনেক সময় কথা বলতেও সমস্যা হতে পারে। আলসার খুব বড় আকার ধারণ করলে আর সহজে না সারলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া ঘরোয়া কিছু টোটকা মানলে আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) বেকিং সোডা: বেকিং সোডা পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যে কোনও জ্বালাভাব কমায়। আলসার হলে যেহেতু জ্বালাভাব থাকে অনেক বেশি, তাই বেকিং সোডার ব্যবহার করা যেতে পারে। বেকিং সোডা ও পানির একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে সেটি আলসারে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে জ্বালাভাব দূর হবে। এছাড়াও হাফ কাপ পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে তা দিয়ে ১৫-৩০ সেকেন্ড কুলকুচি করলেও আলসার কমতে পারে। এক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পর পর এভাবে কুলকুচি করলে ধীরে ধীরে আলসার কমে যাবে।
২) নারকেল তেল: ত্বক ভালো রাখতে ও রান্নার ক্ষেত্রে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই তেল আলসার ভালো করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে বলে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান জ্বালাভাব দূর করে ও ব্যথা কমায়। এক-দু ফোঁটা নারকেল তেল আলসারে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ধীরে ধীরে আলসার কমে যাবে।
৩) অ্যালুম পাউডার: এতে অ্যাসট্রিনজেন্ট উপাদান থাকে, যা আলসার শুকাতে সাহায্য করে। সামান্য পানির সঙ্গে অ্যালুম পাউডার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর আলসারে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে।
৪) মধু: মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান থাকে যা নারকেল তেলের মতোই জ্বালাভাব, ব্যথা ও লালচে ভাব কমায়। আলসারে এক ফোঁটা মধু লাগিয়ে রাখলেও আলসার ভালো হয়ে যেতে পারে।
৫) লবণ পানি : এসব ছাড়াও আলসার হলে হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে তা দিয়ে গার্গল করতে হবে। এতে আলসার শুকিয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply