অনলাইন ডেস্ক : ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন বলছেন মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি পরিবহন, দফায় দফায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ও সিরাজগঞ্জ অংশে পরিবহন চলাচলে বাধার জন্যই এ যানজট।
দেখা যায়, উত্তরবঙ্গাগামী লেনে গাড়ি আটকে রয়েছে। তবে ঢাকামুখী লেনে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
রোববার (১৮ জুলাই) ভোর থেকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা, সল্লা, জোকারচর ও বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। তবে মাঝে মাঝে ঢাকামুখী লেনে গাড়ি চললেও উত্তরবঙ্গমুখী লেনে গাড়ি আটকে রয়েছে।
যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। তবে সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাসের থেকে ট্রাকের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।
এদিকে গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকামুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। সড়কেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এর আগেও গতকাল বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট হয়। মহাসড়কের গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের জন্য চার লেনের গাড়ি এক লেন দিয়ে বের হয়।
এছাড়া গোড়াই-সখিপুর সড়কের যাত্রীবাহী বাস ও পশু এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ইউটার্ন নিয়ে মহাসড়কে উঠছে। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ক্রমে তীব্র হচ্ছে যানজট।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ রয়েছে। প্রতিদিনই এমন হচ্ছে। কারণ স্বাভাবিক দিনের চেয়ে মহাসড়কে গাড়ি তিনগুণ বেড়ে গেছে। গতকালও সারাদিন মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত পরিবহন চলাচলে ধীরগতি ছিল। তবে কখন নাগাদ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply