অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় ধসের একই পরিবারের ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা-মা ও এক শিশুসহ চারজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দনগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর ভিলেজারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পাঁচ শিশু হলো আবদুস শুক্কুর (১৬), মোহাম্মদ জুবায়ের (১২), আবদুল লতিফ (১০), কোহিনূর আক্তার (১৪) ও জয়নাব আক্তার (৮)।
তারা সবাই টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী বিলিজার পাড়া ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে-মেয়ে।
এ ঘটনায় আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন সৈয়দ আলম (৫০), তার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪৫), তার বড় মেয়ে শাবনুর (১৮) ও ৬ মাসের মেয়ে মরিয়ম বেগম।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পানখালীর ভিলেজারপাড়ায় পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে। সৈয়দ আলমের ঘরের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এ সময় আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী, বড় মেয়ে ও এক শিশু সন্তানসহ চারজনকে উদ্ধার করা হয়। আর সেখান থেকে পাঁচ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, টানা ভারিবর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শত শত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আর কেউ মাটি চাপা পড়ে আছে কিনা তা দেখতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, একই পরিবারের ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে মা-বাবাসহ দুই সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় গত সোমবার বিকেল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হচ্ছিল। টেকনাফ পৌরসভায় একটি আশ্রয় কেন্দ্রের ৪ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ পাদদেশ থেকে নেমে এসেছেন। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নিহতদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১০-এ পাহাড় ধসে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আর ঢলের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পাহাড়ধসে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে রকিম আলী নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply