ক্রীড়া ডেস্ক : দুর্দান্ত কামব্যাক করে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতলেও শেষ দু’টি ম্যাচ হেরে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব৷
পাঁচ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেও শেষরক্ষা হল না কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। লিগের শেষ দু’টি ম্যাচে হেরে কুড়ি-বিশের আইপিএলের প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জনের স্বপ্ন মরুশহরেই ফেলে এল কেএল রাহুল অ্যান্ড কোম্পানি। রবিবাসরীয় ডাবল-হেডারের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৯ উইকেটে হারতেই এবারের মতো আইপিএল অভিযান শেষ হল প্রীতি জিন্টার দলের।
চেন্নাইকে হারাতে পারলে প্লে-অফ একপ্রকার নিশ্চিত কিন্তু হারলে বিদায়। তাই আক্ষরিক অর্থে এদিন চেন্নাই ম্যাচ ছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে ‘মাস্ট উইন’ গেম। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এদিন টস ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি পঞ্জাব অধিনায়ক কেএল রাহুলকে। টস জিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট পাঠান সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ময়াঙ্ক দলে ফিরতে তাঁকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন অধিনায়ক রাহুল। ১৫ বলে ২৬ রান করে ময়াঙ্ক ফিরতেই ধস নামে পঞ্জাব ব্যাটিং লাইন-আপে। রাহুল ফেরেন ২৯ রানে। দীপক হুডার বিধ্বংসী ইনিংস সেই ধস রোধ করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পঞ্জাবকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেয়।
৩০ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস খেলেন হুডা। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ৪টি ছক্কা। ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ২০ ওভারে চেন্নাইকে ১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দেয় পঞ্জাব। চেন্নাইয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই পঞ্জাব বোলারদের আক্রমণের পথ এছে নেন দুই চেন্নাই ওপেনার রুতুরাজ এবং ডু’প্লেসি। তাদের ওপেনিং পার্টনারশিপে ৮২ রান উঠতেই বিদায়ঘন্টা বেজে যায় পঞ্জাবের। ডু’প্লসি অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও থামানো যায়নি রুতুরাজকে। ৩৪ বলে ঝোড়ো ৪৮ করে আউট হন ডু’প্লেসি। কিন্তু ৪৯ বল অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন রুতুরাজ।
ম্যাচের সেরা রুতুরাজের ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং একটি ছয়। অন্যদিকে ৩০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আম্বাতি রায়াডু। সাত বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় চেন্নাই। টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ ম্যাচ জিতে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরুর আগে লিগ টেবিলে নাইটদের টপকে সপ্তমস্থানে উঠে আসে চেন্নাই। অন্যদিকে ম্যাচ হেরে একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পঞ্জাবকে।
বাংলার বিবেক ডট কম – ০১ নভেম্বর, ২০২০
Leave a Reply