অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুল্লাখালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে হাতিয়া থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুইটি নোয়াখালী জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন—গুল্লাখালী গ্রামের প্রবাসী রবিউল হকের স্ত্রী লুত্ফা বেগম (৪৫) ও মেয়ে চাঁদনি বেগম (৭)।
পুলিশ জানায়, মৃত লুত্ফার বড় মেয়ে নাদিয়া রবিবার দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়ি থেকে মাকে দেখতে বাবার বাড়িতে আসেন। এসে দেখেন মা ও বোন উঠানে পড়ে আছে। পরে তার চিত্কারে প্রতিবেশীরা এসে দুই জনকেই মৃত অবস্থায় পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ দুইটি উদ্ধার করে।
নিহতের বড় মেয়ে নাদিয়া বেগম (২৫) জানান, বাবার বাড়ি গিয়ে তিনি দেখেন মা ও বোন দুই জনই ঘরের উত্তর পাশে উঠানে পড়ে আছেন। দুই জনকে জীবিত মনে করে তিনি তাদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রতিবেশীদের খবর দেন।
নিহত লুত্ফা বেগমের বড় ভাই আবু কাউছার জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত্ তার বোনের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে হাতিয়া পৌরসভায় সালিশ বৈঠকও হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, নিহত মহিলার উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে শিশুটির দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply