নিজস্ব প্রতিবেদক :প্রেমের টানে বরিশাল জেলা থেকে রাজশাহীতে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী (১৭)।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মতিহার থানায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ওই তরুণী বরিশাল জেলার আগলঝার থানার দতেরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।

তরুণী জানায়, মোঃ আল-আমিন অরফে মিন্টু অরফে ডায়মন্ড (৩৫) নামের এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে গত ৮ মাস আগে পরিচয় হয়। এরপর থেকে এক অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেমিক মিন্টু গত (১০ এপ্রিল) প্রেমিক বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রেমিক মিন্টু মুঠোফোনে বলে, তুমি রাজশাহী এেেসা আমি তোমাকে বিয়ে করবো। তার কথায় সরল বিশ^াসে বাড়ি পালিয়ে বরিশাল জেলার বাটাজোড় বাসস্ট্যান্ডে আকিব নামের একটি যাত্রিবাহী বাসে চেপে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তরুণী। ওই দিনই দিবাগত রাত ১টায় রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীণ চৌদ্দপাই এলাকায় এসে বাস থেকে নামে তরুণী। সেখানে আগে থেকেই মোাটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলো প্রেমিক আল-আমিন অরফে মিন্টু অরফে ডায়মন্ড। এ সময় সে তরুণীকে মোটরসাইকেলে

তুলে নেয়। এবং তার অপর দুই সহযোগী মোঃ হোসেন (২৫) ও তানজিদ (২৮) তাদের কাছে থাকা একটি মোটর সাইকেলে পেছনে পেছেনে যায়। পরে তারা একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় তারা তরুণীর কাছে থাকা নগদ নগদ ২২ হাজার টাকা, ১৮ হাজার টাকা মূলের একটি স্বর্নের কানের ঝুমকা এবং ৩০হাজার টাকা মূল্যের স্বর্নের চেইন ছিনতাই করে পািিলয়ে যায়। এরপর তরুণীর কান্নাকাটি শুনে স্থানয়িরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগের ৪১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে।

সেখানে সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তরুণীকে ওসিসি থেকে ছুটি দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিন দুপুরে মতিহার থানায় এসে তিনজন প্রেমিককে প্রধান আসামী করে অপনদুইজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণী।

জানতে চাইলে মতিহার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলী তুহিন জানান, তরুণীর দেয় বক্তব্য অনুযায়ী, প্রেমের টানে বরিশাল জেলা থেকে রাজশাহী মহানগরীতে প্রেমিককে বিয়ের উদ্দেশ্যে আসে তরুণী। রাজশাহী পৌঁছার পর মতিহার থানার চৌদ্দপাই মোড়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় প্রেমিক আল-আমিন অরফে মিন্টু অরফে ডায়মন্ড। পরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে। সোমবার ওসিসি থেকে ছাড়া পেয়ে দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী বাদি হয়ে মতিহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার মাঠে কাজ করছে পুলিশ। শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।

বাংলার বিবেক/আর