1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : motaharul :
শিরোনাম :
বরাবরই বয়সে ছোট পাত্রের দিকেই নজর মালাইকার কলা খেয়ে খোসা ফেলে দেন? কোন ৫ টোটকা জানলে আর এমন ভুল করবেন না ইমরান খানের ‘দুষ্টু বউ’ হতে চাই! আবদার করে তার কারণও জানালেন ব্রিটেনের টিকটক তারকা মঙ্গল থেকে পৃথিবীর বুকে ভেসে এল ‘ভিন্‌গ্রহীদের’ সঙ্কেত রাজশাহীস্থ বৃহত্তর পাবনা সমিতির সাথে খায়রুজ্জামান লিটনের মতবিনিময় মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার – ২৫ পুঠিয়া উপজেলায় : আইনশৃংখলার চরম অবনতি সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে পুঠিয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত রাজশাহীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত
শিরোনাম :
বরাবরই বয়সে ছোট পাত্রের দিকেই নজর মালাইকার কলা খেয়ে খোসা ফেলে দেন? কোন ৫ টোটকা জানলে আর এমন ভুল করবেন না ইমরান খানের ‘দুষ্টু বউ’ হতে চাই! আবদার করে তার কারণও জানালেন ব্রিটেনের টিকটক তারকা মঙ্গল থেকে পৃথিবীর বুকে ভেসে এল ‘ভিন্‌গ্রহীদের’ সঙ্কেত রাজশাহীস্থ বৃহত্তর পাবনা সমিতির সাথে খায়রুজ্জামান লিটনের মতবিনিময় মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার – ২৫ পুঠিয়া উপজেলায় : আইনশৃংখলার চরম অবনতি সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে পুঠিয়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত রাজশাহীতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত

রাস্তার নীচে কঙ্কালের সারি, ‘রোড অব বোনস’

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৬০ বার
‘রোড অব বোনস’
ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার উত্তর পুর্বে সাইবেরিয়ার ইয়াকুটস্কের নিকটবর্তী এক হাইওয়ের যেখানে সেখানে মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। কোথাও মাথার খুলি, কোথাও বা হাত-পা বা শরীরের অন্য অংশের হাড়ের টুকরো প্রায় গোটা রাস্তাতেই ছড়িয়ে রয়েছে।

এই রকম মানব-অস্থি ছড়ানো পথের নাম হয়েছে ‘রোড অব বোনস’। অবশ্য এর একটি পোশাকি নামও রয়েছে, আর ৫০৪ কোলাইমা হাইওয়ে।

স্তালিন আমলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে এই হাইওয়ে নির্মিত হয়েছিল। জানা যায়, এই রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল সেভভোস্তলাগ লেবার ক্যাম্পের বন্দিদের শ্রম।

১৯৩২ সালে এই রাজপথের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় যা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তা চলে। আর এতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল গুলাগ বা বন্দিশিবিরের আবাসিকদের শ্রম।

অনুমান করা হয়, এই পথ তৈরি করতে গিয়ে বহু মানুষ মারা পড়েন। তাঁদের হাড়গোড় এই রাস্তার নীচেই চাপা পড়ে যায়। গ্রীষ্মে এই অঞ্চলটি আর্দ্র এবং অস্বাস্থ্যকর। শীতকালে অসম্ভব ঠান্ডার কারণেও এখানে তেমন ভাবে মানব বসতি গড়ে তোলা যায়নি। এই দুর্গম জায়গাতেই গুলাগে আটক মানুষদের দিয়ে তৈরি করা হয় এই হাইওয়ে। সেই কারণে এই রাজপথ আজ সোভিয়েত আমলের এক লজ্জাজনক স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচিত।

স্তালিন আমলের গুলাগে আটক মানুষের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্মারক এই পথ আজ যেন এক জীবন্ত মিউজিয়াম। কোলাইমা অঞ্চলের গুলাগে বন্দি ছিলেন কবি ভারলাম শালামভ। মুক্তি পাওয়ার ১৫ বছর পরে তিনি সেই বন্দিজীবনের স্মৃতিকথা ধরে রাখেন ‘কোলাইমা টেলস’ নামক গ্রন্থে। শালামভ জানিয়েছেন, এই গুলাগে ৩ সপ্তাহ বাস করলে অতিরিক্ত পরিশ্রম, ঠান্ডা, খিদে এবং প্রহরীদের নির্যাতনে মানুষ পশুতে পর্যবসিত হয়।

স্তালিন আমল অতিক্রান্ত হলে গুলাগের জ্বলন্ত স্মৃতির উপরে প্রলেপ দিতে প্রচার করা হতে থাকে সোভিয়েত রাশিয়ার সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার কিংবদন্তি। কোলাইমা-সহ বহু গুলাগের এক সময়ের বন্দিরাও সেটা মেনে নেন। কোলাইমার গুলাগে বন্দিদের অনেক সময়েই নিকটবর্তী টিন বা অন্যান্য খনিতে কাজ করতে বাধ্য করা হত। অতিরিক্ত শ্রমে, ঠান্ডায়, কম আহারে পোকামাকড়ের মতো মারা যেতেন তাঁরা। তাঁদের অনেকের দেহাবশেষই আজ ‘রোড অব বোন’-এর নীচে বলে অনুমান করা হয়।

আজও রাশিয়ায় এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা স্তালিনকে ‘দেবতা’ বলে মানেন। তাঁদের মতে, যে নির্যাতন সাধারণের উপরে হয়েছে, তার জন্য দায়ী পার্টি ও দলের নেতারা। শালামভের স্মৃতিকথাকেও অনেকে অতিরঞ্জিত বলে মনে করেন। আজকের স্তালিনভক্তরা তাকে আগাগোড়া কল্পিত বলে দাবি করেন। গুলাগের স্মৃতি ধরা রয়েছে আলেকজান্ডার সলঝেনিৎসিনের মতো সাহিত্যিকের রচনাতেও। সুতরাং গুলাগের ভয়াবহতাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

রাশিয়ার উত্তর পূর্বের শহর মাগাডানের সঙ্গে লেনা নদীর তীরে নিঝনি বেস্টিয়াখ শহরকে সংযুক্ত করেছে ‘রোড অব বোনস’। গুলাগের ভয়াবহতাকে গণস্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য মাগাডানে রয়েছে একটি গুলাগ মিউজিয়াম।

১৯৯০ সালের দশকে প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের আমলে ‘রোড অব বোনস’-এর মুখেই তৈরি করা হয় ‘মাস্ক অব সরো’ নামের একটি কংক্রিট ভাস্কর্য। কোলাইমার অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীতের স্মারক এই ভাস্কর্য।

সম্প্রতি আবার গুলাগের ভয়াবহতাকে উস্কে দিয়েছে ‘রোড অব বোনস’থেকে প্রাপ্ত বেশ কিছু নরকঙ্কাল। অনুমান, ১৯১৭-১৯২২ সালের রুশ গৃহযুদ্ধের সময়ে মৃত ব্যক্তিদের কঙ্কাল সেগুলি। অর্থাৎ শুধু গুলাগের দুঃখজনক স্মৃতি নয়, এই অঞ্চলের মাটির নীচে রয়ে গিয়েছে রুশ ইতিহাসের আর এক রক্তক্ষয়ী সময়ের ইতিহাসও।

সব মিলিয়ে, ‘রোড অব বোনস’ সোভিয়েত নির্যাতনের এক বহমান স্মারক। আর সাম্প্রতিক আবিষ্কার তার সঙ্গে যোগ করল বলশেভিক রাজ প্রতিষ্ঠার গোড়ার দিকের এক রক্তাক্ত অধ্যায়কেও। রাজতন্ত্রবাদী, বিদেশি শক্তি এবং সমরনায়কদের যৌথশক্তির সঙ্গে বলশেভিকদের লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত শুয়ে রয়েছে ‘রোড অব বোনস’-এর গভীরে।

বাংলার বিবেক ডট কম২৬ নভেম্বর, ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme