অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছবির মাধ্যমে জহিরুল ইসলাম নামে এক বখাটে ধর্ষক শনাক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বাকপ্রতিবন্ধীর মা বাদি হয়ে জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই মামলা এখন তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্ত জহিরুল পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের নাছির মিয়ার ছেলে।
মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ২৭ মে মামলা দায়ের করার পরদিন সকালে ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেদিনই বিকালে তরুণীর জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ওই তরুণীর চাচাত ভাই জানান, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে নিজ বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জহিরুল ইসলাম। তবে, মেয়েটি কথা বলতে না পারায় তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে পারেনি। ঘটনাটি তখন চাপা পড়ে যায়।
তবে, কিছুদিন আগে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত ২০ মে ডাক্তার দেখাতে যান। চিকিৎসক পরামর্শ মতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। কিন্তু কে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায়, এলাকার কিছু বখাটে ছেলের ছবি দেখানো হলে মেয়েটি জহিরুল ইসলামকে ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর জহিরুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় মামলা করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান আরও জানান, এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় অনেক দেন-দরবার হয়েছে। তবে, আসামিকে গ্রেপ্তারে একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply