অনলাইন ডেস্ক : শারীরিক সমস্যা থেকে চিরমুক্তির জন্য কবিরাজের পরামর্শে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছেন মেজবাহুল হক ঘুটু (২৮) নামে এক যুবক। এ মামলায় গ্রেফতার হবার পর র্যাবের কাছে একথা স্বীকার করেছে মামলার প্রধান আসামি ঘুটু। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার দক্ষিণ খলেয়া কাহারটারী গ্রামে। এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) মামলার মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, কবিরাজের পরামর্শ অনুযায়ী (২ জুন) স্কুল থেকে ফেরার পথে ভুক্তভোগী ৭ বছরের শিশুকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নেয় ধর্ষণে সহায়তাকারী সূর্যিনা বেগম। এরপর মোবাইলে গেম দেখানোর পর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মেজবাহুল হক ঘুটু।
পরবর্তীতে ধর্ষক ভুক্তভোগীকে বুঝিয়ে এবং হুমকি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে ভুক্তভোগী শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৪ জুন গংগাচড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলে শনিবার (১১ জুন) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্ধগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে ধর্ষক মেজবাহুল হক ঘুটু(২৮) এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী আজহারুল ইসলাম খদের(৫০) সুর্যিনা বেগমকে(২২) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাব ১৩ অধিনায়ক। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ওই কবিরাজের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply