অনলাইন ডেস্ক : স্থিতিশীল না হলেও শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চারদিন পর করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক করার পর থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে নেয়া হয় কেবিনে।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হার্টের অন্য দুটি ব্লক নিয়ে এখনই কোনো কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে কিছুক্ষণ আগেই কেবিনে নেয়া হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
হার্টের অন্য দুটি ব্লকে রিং পরানোর বিষয়ে এখনই কোনো ঝুঁকি নিতে চান না বলেও জানান চিকিৎসকরা। আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে বিএনপি নেত্রীকে সে বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দিতে চান না তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
হার্টের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেগম জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয় গত শনিবার (১১ জুন)। এরপর থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন বিএনপি নেত্রী।
হার্টের তিনটি ব্লক ধরা পড়ে বেগম জিয়ার৷ ভর্তির দিনই পরানো হয় রিং। ছিলেন ৭২ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে।
অবশেষে ৯৪ ঘণ্টা পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। তবে তিনি স্থিতিশীল নয় বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
আরথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হার্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হন।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply