অনলাইন ডেস্ক : যত দূর চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এখনো ডাঙার দেখা পায়নি সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। নেই সুপেয় পানি। আছে খাবার সংকটও।
পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হচ্ছে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। ত্রাণের জন্য হাহাকার বানভাসিদের। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে হেলিকপ্টারে করে দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা দেশের সব বাহিনী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।
বানভাসি মানুষের ভরসা হতে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকা থেকে ত্রাণ নিয়ে উড়ে যায় বিজিবির একটি দল। ত্রাণবাহী হেলিকপ্টার যখন সুনামগঞ্জে তখন মুষলধারে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বানভাসি মানুষের পাশে আছে পুলিশ: আইজিপি
এর মাঝেই সেগুলো বুঝে নেন বিজিবির সদস্যরা। সীমান্তের দুটি দুর্গম বিওপি ও জেলা সদরে ত্রাণ পৌঁছে দেয় বিজিবির হেলিকপ্টার।
এদিকে খাবারের জন্য হাহাকার শহরের বহু এলাকায়। একদিকে ভেসে গেছে ঘর অন্যদিকে পেটের ক্ষুধা। দুই মিলে জীবন বড্ড কঠিন এখন। নৌবাহিনীর সদস্যরা অনেককে উদ্ধার করে নিয়ে যান আশ্রয়কেন্দ্রে। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন খাবার ও ওষুধ।
একই অবস্থা জেলার বিশ্বম্ভরপুর এলাকাতেও। বানের পানিতে নিঃস্ব গ্রামবাসী। পানিবন্দি হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে ৩০০ পরিবারের।
আরও পড়ুন: পুনর্বাসন পর্যন্ত সেনাবাহিনী বন্যার্তদের পাশে থাকবে: সেনাপ্রধান
র্যাব মহাপরিচালক পরিদর্শন শেষে খাদ্যসহায়তা দেন বানভাসিদের। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও ঘুরে দেখেন দুর্গত এলাকা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বন্যাদুর্গত দুই হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেন আইজিপি।
দুর্যোগের এমন সর্বগ্রাসী থাবার পর কবে ফিরবে স্বাভাবিক সময় সেই আশায় দিন গুনছেন ওই অঞ্চলের লাখো মানুষ।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply