আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বারবার সীমান্ত সংঘাত ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। উচ্চপদস্থ মার্কিন সেনেট বার্তা দিলেন চিনকে। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন গালওয়ান সংঘর্ষ পুরোপুরি পরিকল্পিত।
অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করা চিনের স্বভাব বলে জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে পূর্ব লাদাখে যে অশান্তি তৈরি করেছে চিন, তা তাদের স্বভাবজাত। কুড়ি জন ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার ঘটনায় বেজিংয়ের হাত রয়েছে। চিন ইচ্ছা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ দখলদারি মনোভাব থেকে সরে আসবে না তারা।
ইউনাইটেড স্টেটস-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশনে প্রকাশিত এক জার্নালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে বেশ কিছু তথ্য ও নথি প্রমাণ করছে যে চিন গালওয়ানে যে সংঘর্ষের ঘটিয়েছে, তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। ভারতের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে এই ছক কষেই পদক্ষেপ করেছে তাঁরা।
উল্লেখ্য, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় এলএসি বরাবর চিনা সেনার সমাবেশ বাড়ানোর খবরও প্রকাশ্যে আসে। এমনকী মে মাসেই প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে চিনা সেনা ঢুকে পড়ার খবরও প্রকাশিত হয়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের অনুপ্রবেশ নিয়ে বুধবারের এই দাবি ঘিরে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বলেই মনে করছে বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার সংসদে ভারত-চিন সংঘাত প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারত-চিন সংঘাত এখনও মেটেনি বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। চিনের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গেরও অভিযোগ তোলেন রাজনাথ। মঙ্গলবার সংসদে রাজনাথ সিং জানান, ৩৮,০০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দখলদারির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন সেনা। ভারত-চিন সংঘাত মিটতে ধৈর্য্য ধরা প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘাতে চিনের কতজন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন সে বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি চিন সেনা। একের পর এক বৈঠকের পরেও কোন উন্নতি হয়নি। কূটনৈতিক থেকে মিলিটারিস্তরে একাধিক আলোচনায় কোনও লাভ হয়নি। সেনা সরানো দুরের কথা অস্ত্রসম্পন্ন সেনা মোতায়েন করে শক্তিপ্রদর্শন করছে লাল চিন।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২ ডিসেম্বর, ২০২০
Leave a Reply