অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন কোরবানি ঈদে পঞ্চগড়ে চাহিদার চেয়ে দেড়গুণ বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। সে হিসেবে এবার জেলায় সাড়ে ৪৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি থাকায় বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় ক্রেতাদের কুরবানীর জন্য মাঝারি আকারের গরুতে বেশি আগ্রহ। ফলে খামারিরা বড় আকারের গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রতি বছর ঈদের আগ মুহূর্তে বাইরের জেলার ব্যাপারীরা খামার থেকেই গরু কিনে নিতেন। কিন্তু এবছর বন্যার কারনে তেমন ব্যাপারী না আসায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, পঞ্চগড় জেলায় এবছর কুরবানীর জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি। এর বিপরীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি গবাদিপশু। এরমধ্যে গরু ৪১ হাজার ২৪৬টি, মহিষ ৩৪ টি, ছাগল ৮৪ হাজার এবং ভেড়া ৯ হাজার ৯৯০টি। উদ্বৃত্ত পশুর সংখ্যা ৪৫ হাজার ৩৯৩টি।
কথা হয় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানীপাড়া এলাকার খামারি মনির হেসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় বেড়েছে অনেক। বাইরের ব্যাপারী না আসায় স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশিত দাম বলছেনা। ভালো দামে বিক্রি করা না গেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।
হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া এলাকার খামারি মোকাম্মেল প্রধান জানান, তার খামারে কুরবানির জন্য ষাঁড় গরু প্রস্তুত রয়েছে ২০টি। তবে এখনো পর্যন্ত সেগুলো বিক্রি করতে পারেনননি তিনি। দু-একজন ব্যবসায়ী আসলেও কাঙ্খিত দাম বলেনি।
তিনি বলেন, আমার খামারের সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরুটির ওজন ২২ মণ। ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না বলায় এখনো বিক্রি করিনি। গরুটির পিছনে দৈনিক একহাজার টাকার বেশি খরচ হয়। কাঙ্খিত দাম না পেলে নিশ্চিত লোকসান।
পঞ্চগড় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই বলেন, জেলায় এবার কোরবানির চাহিদার চেয়ে গবাদিপশু বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে কোরবানির পশুহাট শুরু হয়েছে। হাটগুলোতর সুস্থ্য-সবল পশু বেচাকেনায় সহযোগিতার জন্য মেডিকেল টিম কাজ করেছে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, জেলা সদর সহ বিভিন্ন বড় হাট বাজার গুলোতে জাল নোট যাচাই সহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাদা পোষাকে কাজ করছে।
পঞ্চগড় পৌর সভার মেয়র জাকিয়া খাতুন বলেন শহরের বাজনগর পশুর হাট তদারকি করা হচ্ছে ক্রেতারা যেন কোন ভাবেই বিড়ম্বনার স্বীকার না হয়। প্রয়োজনে হাটের সময় সীমা বাড়ানো হবে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply