অনলাইন ডেস্ক : তীব্র দাবদাহে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। একটু শীতল ছায়া পেয়ে গা এলিয়ে দিলেও স্বস্তি মেলে না, বাতাস যেন আগুনের ফুলকি। জনজীবনই শুধু ওষ্ঠাগত নয়, খরার কবলে পড়েছে আমন আবাদও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। তবে দু-একদিনের মধ্যে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
জানা গেছে, মাথার ওপর সূর্যের তাপে পায়ের তলায় উঠে আসে সড়কের পিচ। প্রায় বৃক্ষশূন্য, রুক্ষ জনপদ। শুধু মানুষ নয়, গরমে অতিষ্ঠ পোকামাকড়-প্রাণীকুলও।
আমনের ভরা মৌসুমে অনাবৃষ্টির খরা। মাটি ও জমি চৌচির। শত শত সেচ পাম্প বসিয়ে সেচ দিতে ক্ষতির শঙ্কা আছে উৎপাদন ব্যয়ে। তবু জমি তৈরির বিলম্বিত চেষ্টা শুরু করছে চাষিরা।
এবার ১ লাখ সাড়ে ৬৬ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ২৫০ হেক্টরে আমন রোপণ হয়েছে। এ বছর সম্পূরক সেচেই আমন ফসলের টার্গেট পূরণ করতে হবে বলে জানান রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান।
সাগরের উষ্ণ জলস্রোত এলনিনোর প্রভাবে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ ঘন মেঘ ভেসে এসে বৃষ্টি হবার কথা থাকলেও তা হয়নি। সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এবার গরমের তীব্রতা ।
মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে বলে জানান রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কামরুল হাসান।
গত বছরের জুলাই মাসে সাড়ে ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় এই অঞ্চলে। কিন্তু এবার মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দফতর।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply