অনলাইন ডেস্ক: জয়পুরহাটে প্রতারণার মাধ্যমে ৬ নারীকে বিয়ে করে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মেহেদী হাসান (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার র‍্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান সদর উপজেলার পাঞ্চাতিপাড়া কেন্দুলী এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে।

জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান জানান, মেহেদী হাসান, লতিফ ও মিন্টু এরা তিনজন পেশাদার প্রতারক। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেদেরকে ঠিকাদার, বালুমহলের ইজারাদার এবং অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে মেয়েদের বিয়ে করে। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে সেই এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় গিয়ে আবারও একই ধরনের কাজ করতো।

তিনি আরও জানান, তারা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই বা আত্মীয় কখনো সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসব কাজ করতো। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তদের মূলহোতা মেহেদীর কথিত ৫ নম্বর স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩) জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করলে ঘটনার সত্যতা পায়।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মেহেদীর কথিত ৫ম স্ত্রীর ভাই র‍্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলে যে মেহেদী ও তার সহযোগীরা মিলে তার কথিত ষষ্ঠ শ্বশুর বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগ্নে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে।

এরপর জয়পুরহাট র‍্যাব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কথিত স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩), রুমি পারভিন (২৫), শাশুড়ি শামিমা আক্তার (৪৫) এবং ৫ম স্ত্রীর দুই বাচ্চাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য লতিফ ও মিন্টু পালিয়ে যায়।