অনলাইন ডেস্ক : কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত চারদিন ধরে এখানে সূর্যের দেখা মেলেনি। রাতে বৃষ্টির মতো শিশির টপটপ করে পড়ে এবং দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় নিম্ন আয়ের লোকজন শীতের কাপড়ের অভাবে খরকুটো জ্বালিয়ে কোন রকমে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দিন মজুর কৃষক- শ্রমিকেরা অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে কাজে যেতে পারছেন না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
বিশেষ কোন কাজ ছাড়া লোক জন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের কারণে বিভিন্ন অফিস আদালতে লোকজনের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে।
হাসপাতালে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছেন। সোনারী পাড়া এলাকার রহিমা বেওয়া (৭৫), ফ্লাড সেন্টার এলাকার সেফালী বেগমসহ (৫০) অনেকে জানান, শীতের কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ অতিকষ্টে রয়েছেন। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার ফলে শত শত হাঁস, মুরগী ও ছাগল মরে যাচ্ছে। স
বুজ পাড়া এলাকার শাহাজাহান আলী জানান, মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডার ফলে তার কয়েকটি মুরগী মারা গেছে। ইরি বোরোর বীজ তলা লালচে হলুদ বর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডার কারণে এবারে ইরি বোরো রোপনের মৌসুম দেরি হয়ে যাচ্ছে।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৭ জানুয়ারি, ২০২১
Leave a Reply