রাজশাহী : রাজশাহীতে মাত্র একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল শনিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত একদিনের ব্যবধানে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এটি সারা দেশের মধ্যে রোববারের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে চলতি শীত মৌসুমে রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফলে একদিকে রেকর্ড তাপমাত্রা হ্রাস, অন্যদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বেড়েছে রাজশাহীর ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষের। রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও পথের ফুটপাতের ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকা এসব মানুষের দিন-রাত কাটছে খুবই কষ্টে। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
এদিকে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে এই অবস্থার কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে সর্বনিম্ন এই তাপমাত্রা আরও এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আপাতত আবহাওয়া অধিদফতর এমন আশংকার পূর্বাভাসই দিচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার সকাল ৭টায় রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরই রয়েছে রাজশাহী। সাধারণত দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। অর্থাৎ, রাজশাহীর ওপর দিয়ে বর্তমানে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবারের পর হঠাৎ করেই এই অঞ্চলের তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আব্দুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এগিয়ে আসলে শীতার্ত মানুষ অসহনীয় ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
বাংলার বিবেক ডট কম – ৩১ জানুয়ারি, ২০২১
Leave a Reply