আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো ইরানে করোনার টিকা দেওয়া । প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই কার্যক্রম শুরু করেছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য ও ওষুধ সংস্থার মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে প্রতিদিন ১০০০ ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এরপর ক্রমান্বয়ে তা চাহিদার ভিত্তিতে বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর আগেই জানিয়েছিল যারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে তাদের একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে। সেইমতো প্রথমেই ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পাবেন।তবে যারা একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আপাতত টিকা নেওয়ার দরকার নেই বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমত প্রকাশ করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি এর আগেই জানিছিলেন, ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হল প্রতিরোধ। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, পারস্পরিক সহযোগিতায় করোনা মোকাবেলা করতে পারা যাবে। এছাড়া আরেকটি উপায় হলো ভ্যাকসিন (টিকা)। সাধারণ নিয়মে টিকার তৈরি হতে এক-দুই বছর লাগে। কিন্তু যেহেতু করোনাভাইরাসে মৃত্যু অনেক বেশি এবং এই ভাইরাস অসংখ্য সমস্যার জন্ম দিচ্ছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা করোনা ভ্যাক্সিনের প্রথম চালান বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছয় ইরানে। রাশিয়ায় স্পুটনিক-ভি নামের এই ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত বলে দাবি ওঠার পর, ইরানের পক্ষ থেকে এই ভ্যাকসিন আমদানি করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বের ১৬টি দেশ রাশিয়ার তৈরি এই টিকা স্পুটনিক-ভি-কে অনুমোদন করেছে। সেখানে ইরান ১৬তম দেশ হিসেবে এই ভ্যাক্সিন অনুমোদন করে। করোনার টিকা কেনার পাশাপাশি যৌথভাবে এই টিকা উৎপাদনের বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। টিকা তৈরির ক্ষেত্রে ইরান এখন ভালো অবস্থাতেই রয়েছে। এই কারণে দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা করা হয়েছে যাতে পরবর্তী কালে রুশ টিকা ইরানেই তৈরি করা সম্ভব হয়।
বাংলার বিবেক ডট কম – ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Leave a Reply