জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সংঘর্ষে কাউন্সিলর প্রার্থী আফাজ উদ্দীন মন্ডলসহ ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার রাতে পৌর সদরের ২ নং ওয়ার্ডের বিহারপুর এলাকায় ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে পৌর নির্বাচন উপলক্ষে পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বিহারপুর এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের আফাজ উদ্দীন মন্ডল রাতের আধারে গোপনে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন এমন অভিযোগে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী ডালিম প্রতীকে বুলবুল আহম্মেদ বুলু ও তার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংর্ঘষের সৃষ্টি হয়। এসময় থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম হাবিবুল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উভয় কর্মী সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকে আফাজ উদ্দীন মন্ডল সহ চার জন গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন উটপাখি প্রতীকের কর্মী রাজকান্দা গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের পুত্র আবদুল মান্নান(৪৫) এবং ডালিম প্রতীকের কর্মী একই এলাকার মোস্তফার পুত্র মাহবুব (১৯), মোজ্জাম্মেলের পুত্র তহিদুল (২০) এবং উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আফাজ উদ্দীন মন্ডল (৪৫) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আফাজ উদ্দীন মন্ডল বলেন, ‘আমরা দুই প্রার্থী একই এলাকায় ভোট চাচ্ছিলাম, হঠাৎ ডালিম প্রতীকের প্রার্থী বুলবুল আহম্মেদ বুলু এসে বলছে আমি নাকি টাকা দিচ্ছি। এই বলে বুলু সহ তার কর্মীরা সুপরিকল্পিতভাবে আমাকে মারধর শুরু করে। কিন্তুু আমার কাছে কোন টাকা ছিলনা’।
অপরদিকে ডালিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী বুলবুল আহম্মেদ বুলু বলেন, ‘তারা প্রায় ৫০ জন লোক নিয়ে ওই এলাকায় আসছিল ও প্রতিটি বাড়িতে আফাজ উদ্দিন টাকা দিচ্ছিল, আমি তাদের প্রশাসন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলি। কিন্তু তারা বিএনপির লোক একত্রিত হয়ে আমাদের ধাক্কা দিতে শুরু করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই’।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করেনি’।
বাংলার বিবেক ডট কম – ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Leave a Reply