তামান্না হাবিব নিশু: কয়েক দিন পরার পর ওই রিপ্‌ড অংশ থেকে জিন্‌স আরও ছিঁড়তে শুরু করে। সে প্রমাণ নিজেই পেয়েছেন। তবু নিজের সংগ্রহে একটিও তেমন পোশাক থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া কঠিন।

দাম দিয়ে কিছুতেই ছেঁড়া-ফাটা জিন্‌স কিনতে দিচ্ছেন না বাড়ির লোক। ফ্যাশনে ‘ইন’ হলেও তাঁদের কাছে এই শখ পয়সা নষ্ট ব্যতীত অন্য কিছু নয়। যদিও সে কথা একেবারে ফেলে দেওয়ার মতোও নয়। বন্ধুরা অনেকেই দাম দিয়ে রিপ্‌ড জিন্‌স কিনেছেন। কয়েক দিন পরার পর ওই রিপ্‌ড অংশ থেকে জিন্‌স আরও ছিঁড়তে শুরু করে। সে প্রমাণ নিজেই পেয়েছেন। তা-ও মন তো মানতে চায় না। নিজের সংগ্রহে একটিও তেমন পোশাক থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া কঠিন। তা হলে কী করবেন? আলমারি থেকে নিজের পুরনো জিন্‌স বার করে ফেলুন। নীচে দেওয়া পদ্ধতি পড়ে নিয়ে নিজেই তেমন জিন্‌স বানিয়ে ফেলুন।

১) রিপ্‌ড জিন্‌স:

রিপ্‌ড জিন্‌স এখন ফ্যাশনে ‘ইন’। কিন্তু দাম দিয়ে নামি সংস্থার ছেঁড়া-ফাটা জিন্‌স কিনে টাকা নষ্ট করতে চান না। চিন্তা কী? আলমারি থেকে পুরনো একটা জিন্‌স বার করে নিন। তার উপর ব্লেড চালিয়ে জিন্‌সটিকে বানিয়ে ফেলুন চলতি হাওয়ার পন্থী। প্যান্টের হাঁটু বা ঊরুর জায়গায় প্রথমে ব্লেড দিয়ে চিরে দিন। এ বার সেই চেরা অংশ থেকে অত্যন্ত যত্ন সহকারে ছোট ছোট সুতো বার করে নিন। এ বার ক্রপ টপ, ক্যামি টপ কিংবা ওভারসাইজ্‌ড টি-শার্টের সঙ্গে পরুন রিপ্‌ড জিন্‌স।

২) জিন্‌সের পকেট খুলে নিন:

পুরনো জিন্‌স প্যান্টের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রথমে পকেটগুলো খুলে ফেলুন। এ বার চিরুনি বা ব্রাশের সাহায্যে সেই অংশগুলি স্ক্র্যাপ বা ঘষে নিন। কাচতে কাচতে জিন্‌স প্যান্টের রং হালকা হয়ে যায়। কিন্তু পকেট ঢাকা অংশটি থাকে নতুনের মতো। সেইটি খুলে ফেললে দেখতে সুন্দর লাগে। এই ধরনের জিন্‌সও এখন বেশ জনপ্রিয়।

৩) ব্লিচ করে ফেলুন:

গাঢ় নীল রঙের পুরনো জিন্‌স বা শর্টস ক্ষারের জলে ডুবিয়ে রাখুন কয়েক ঘণ্টা। ঘন নীল রং ধুয়ে গিয়ে তা ‘ফেড’ হয়ে যাবে। কয়েক হাজার টাকা দিয়ে নামী সংস্থার ফেডেড ডেনিম কেনার প্রয়োজন পড়বে না। শর্টসের নীচের দিক থেকে ছোট ছোট সুতো টেনে বার করে ফেললে দেখতে আরও সুন্দর লাগবে।