নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ছোট মেয়ে তৃণা মজুমদার। এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীদের সামনে মুলা ঝুলিয়ে গড়ে তোলেন ত্রিশূল নামের একটি এনজিও। এই এনজিওর নাম ব্যবহার করে নৃত্যশিল্পীদের বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু নৃত্যশিল্পীদের কোনো পারিশ্রমিক না দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তৃণার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, সাধন চন্দ্রের ছোট মেয়ে তৃণা ত্রিশূল এনজিওর গঠনতন্ত্রে নিজেকে আজীবন সভাপতি হিসেবে রাখেন। পরে এনজিওটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন করা হলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে তা আটকে যায়। গোয়েন্দা সংস্থা তাঁর আজীবন সভাপতির পদের বিষয়ে আপত্তি তোলে। এই কারণে তাঁকে তাঁর আগের কর্মস্থল থেকে সরিয়ে অন্যত্র পাঠানো হয়।
তারপর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের প্রভাবে সেটি রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। এদিকে ত্রিশূল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের নিয়ে তৃণা নৃত্য পরিবেশনের জন্য কয়েকটি দেশে যান। ফিরে এসে হতদরিতদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের কোনো পারিশ্রমিক না দিয়েই তাড়িয়ে দেন। ত্রিশূলের জন্য সরকারি ও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিলেও সেটি এনজিওর অ্যাকাউন্টে জমা না রেখে আত্মসাৎ করেন।
ত্রিশূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত সুভাষ চঁড়ে বলেন, ‘মূলত ত্রিশূল সমাজকল্যাণ সংস্থা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নিয়েই কাজ করে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য হলো তাদের সংস্কৃতি এবং তাদের আদি রীতিনীতি ধরে রাখা। আমাদের এই সংস্থা থেকে বিভিন্ন কারিকুলাম যেমন—কারিগরি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। অসাম্প্রদায়িকভাবে নাচগানের ভেতর দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নাচগানের জন্য ত্রিশূল সমাজকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে অনেকবার দেশের বাইরে যাওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে আমরা ১২ জনের একটি টিম ভারতের রায়পুরের ছত্তিশগড়ে গিয়েছিলাম। টিমের সদস্যদের সম্মানী না দিয়ে তৃণা তা মেরে দেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যারা প্রশিক্ষক রয়েছি আমাদের কারো কোনো বেতন-ভাতা নেই। বর্তমানে সংস্থার কার্যক্রম সীমিত আকারে রয়েছে। সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের কনিষ্ঠা কন্যা তৃণা মজুমদার। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে যোগাযোগ হয়। আমরা নিজে থেকে কোনো যোগাযোগ করতে পারি না।’
Leave a Reply