তামান্না হাবিব নিশু : প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। কোনওটি খুশকির যম। কোনওটি আবার চুলের জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে। কিন্তু সব ক’টি তেল যদি একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলা যায়, তা হলে কী হবে?
ভাল চুলের গোড়ার কথা লুকিয়ে থাকে তেলে। এ বিষয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত। কেউ বলেন চুলের জন্য অলিভ অয়েল ভাল, কারও মতে কাঠবাদামের তেল। কেউ আবার চুলের যাবতীয় সমস্যার জন্য আদি অকৃত্রিম নারকেল তেলের উপরেই ভরসা করেন। দেখতে গেলে কোনও যুক্তিই ফেলে দেওয়ার নয়। প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। কোনওটি খুশকির যম। কোনওটি আবার চুলের জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে। কিন্তু সব ক’টি তেল যদি একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলা যায়, তা হলে কী হবে?
অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল এবং নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। কাঠবাদামের তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। নিমের তেল অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, ছত্রাকনাশক। এই সব ধরনের তেলেরই নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে। কিন্তু প্রতি দিন আলাদা আলাদা সমস্যার জন্য এত ধরনের তেল মাখবেন, সে সময় কোথায়? তার চেয়ে বরং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই পাঁচ ধরনের তেল মিশিয়ে বিশেষ এক ধরনের তেল তৈরি করে ফেলতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের যাবতীয় সমস্যা বশে রাখা যাবে সহজেই।
নিয়মিত ড্রায়ার ব্যবহার করা ক্ষতিকর, ভিজে চুল খোলা হাওয়ায় শুকোনো কি আদৌ ভাল?
প্রেশার কুকারে ডাল সেদ্ধ করতে গেলেই উথলে উঠছে? ৫ টোটকা জানলে এই সমস্যা রুখে দেওয়া যাবে
বিশেষ এই তেল তৈরি করতে কী কী লাগবে?
১ কাপ: অলিভ অয়েল
আধ কাপ: কাঠবাদামের তেল
২ টেবিল চামচ: ক্যাস্টর অয়েল
২ টেবিল চামচ: নিম তেল
১ কাপ: নারকেল তেল
মাথায় মাখার এই তেলটি কী ভাবে তৈরি করবেন?
ছোট একটি পাত্রে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে অল্প আঁচে তা গরম করে নিন। খেয়াল করবেন যেন সমস্তটা ভাল ভাবে মিশে যায়। এ বার তা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন শ্যাম্পু করার আগে এই তেল মেখে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এই তেল দারুণ কাজের।
Leave a Reply