রাজশাহী প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রেমিক আব্দুল্লাহর বাড়িতে অনশনরত কলেজছাত্রীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অনশন শুরুর পর প্রায় দুইদিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে বাঘা থানায় আনা হয়। পরে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে রাতে বাঘায় থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল্লাহকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেণ্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে ওই কলেজ ছাত্রীর (১৭) সাথে উপজেলার গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে আবদুল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু আবদুল্লাহ তাকে (ভিকটিম) কিছু না জানিয়ে শুক্রবার (১২ মার্চ) অন্যত্র বিয়ে করার জন্য দিন ঠিক করে। এই বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার খবর কলেজছাত্রী জানতে পেরে গত বুধবার থেকে আবদুল্লাহর বাড়ির গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করে। তারপর থেকে এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ তার অনশন দেখার জন্য সেখানে ভিড় করতে শুরু করেন। তবে পরিস্থিতি অনুকুল নয় আঁচ করতে পেরে কলেজছাত্রীর অনশন শুরুর পূর্বমুহুর্তেই আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িটি তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে যান। কলেজছাত্রীর অনশন শুরুর পর থেকে ওই ছাত্রীর নিরাপত্তায় সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কতৃক দুইজন গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে অনশনকালে কলেজছাত্রী জানিয়েছিল, ‘আমাকে আব্দুল্লাহ বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখানেই অবস্থান করবো। আর বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো’।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল্লাহর দাবি, কলেজছাত্রী আমাকে নয়, অন্য কাউকে ভালোবাসে। তাই আমার পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। আর ভিকটিমকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেণ্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বাংলার বিবেক / এফ কে
Leave a Reply