আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সংসদে লুকোনো চিনা ক্যামেরা! তাই নিয়ে হইহই কাণ্ড (Massive uproar)! এমনিতেই চিন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বে মিশেছে ঘোলা জল। মধুচন্দ্রিমা শেষে এখন কিছুটা টানাপোড়েনের মুখে দুই দেশ। এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে ভ্যাকসিনের জন্য চিনের ওপর বিশ্বাস না রেখে ভারতের কাছে হাত পাততে হয়েছে পাকিস্তানকে। তবু ‘দাদা’ চিন যে এমন কান্ড ঘটাবে, তা বোধহয় খোদ পাক প্রধানমন্ত্রীও বুঝতে পারেননি।
ভোটাভুটি চলছিল সংসদে। সংসদের উপরের কক্ষে সেনেট চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত সংসদের অধিবেশন। তবে এই ভোটাভুটির প্রক্রিয়া চলছিল গোপনে। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। আচমকাই ভোট চলাকালীনই সেনেট হল থেকে উদ্ধার হয় চিনা ক্যামেরা (Chinese spy cams)। চিনা স্পাই ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে কেউ বা কারা রেকর্ড করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে ফের হই হট্টগোল শুরু হয়। ব্যাহত হয় ভোট প্রক্রিয়া।
সেনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে গোপন ব্যালটে নির্বাচন চলছিল। সেখানে কে ক্যামেরার মাধ্যমে রেকর্ডিং করছিলেন তা জানা যায়নি। তবে খোদ পাক সংসদের (Pakistan Senate) মধ্যে চিনের স্পাই ক্যামেরা উদ্ধার হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, চিন পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষ্যণীয়। ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে চিনেরই হাত ধরেছিল পাকিস্তান। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। নিজের আখের গুছিয়ে চিন সরে পড়েছে।
দিন কয়েক আগেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের জন্য চিন মোটা টাকা বিনিয়োগ করে, একই সঙ্গে পাকিস্তানকে লোনও দেয়। এই প্রেক্ষিতেই এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট জানায়, লোন দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত গ্যারান্টি চাইছে চিন। ট্রিবিউনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত না, তাই শুধুমাত্র পাকা গ্যারান্টির ভিত্তিতেই চিন লোন দেবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান সস্তা সুদের হারে লোন আশা করছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অনুরোধে মন গলেনি চিনের। ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছিল ইসলামাবাদকে।
চিন পাকিস্তানের কাছে এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ লোন চেয়েছিল। কিন্তু চিন জানিয়েছে, তাঁরা ৮৫ শতাংশ অর্থ দিতে পারবে। পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, রেলমন্ত্রী আজম ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্দশার কারণে পাকিস্তান রেলপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চিন ১ শতাংশ সুদের হারে লোন দেবে ও লোন শোধের জন্য ১০ বছরের সময় দেবে বলে পাকিস্তানের আশা ছিল। কিন্তু চিন পাকিস্তানের এই আশায় একেবারে জল ঢেলে দেয়।
বাংলার বিবেক /এইচ
Leave a Reply