1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

সুবর্ণজয়ন্তীতে হতাশ করল ক্রীড়াঙ্গন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১
  • ১৯০ বার

অনলাইন ডেস্ক : ক্রীড়াঙ্গনে মহান স্বাধীনতার মাসটিই শেষ হলো হতাশা দিয়ে। নেপালে ফুটবলাররা ট্রফি জয়ে দেখিয়েছেন ব্যর্থতা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রিকেটাররা বন্দি হয়ে আছেন পরাজয়ে। ওয়ান ডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও হারলেন টাইগাররা এক ম্যাচ বাকি থাকতে। দেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে তারা কিছুই উপহার দিতে পারেনি। অদক্ষ তোষামোদি সংগঠকদের হাতে বন্দী দেশের ক্রীড়াঙ্গন গত পঞ্চাশ বছরেও হয়ে রইল পশ্চাৎমুখী।

পরিকল্পনাহীন ফুটবলে যা হওয়ার তাই হলো। স্কিলহীন, ছন্দহীন ফুটবল, বোঝাপড়ায় অভাব, স্কোরারের ঘাটতি, কি-ই বা আছে দেশের ফুটবলে? অথচ টানা ষোলটি বছর বাংলাদেশ ফুটবলের শীর্ষ পদ আঁকড়ে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। নিজের আভিজাত্য ভাবে ঘাটতি না ঘটালেও খেলার মানে পরিবর্তন আনতে পারেনি তার সময়কার ফুটবল। বিদেশি কোচ, বিদেশি ট্রেইনার আরও কত কী। অথচ একপাল গোপালের প্রশিক্ষণের কাছে পরাস্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল।

ভারতের আইলিগের পরেই উপমহাদেশে বাংলাদেশের ফুটবল লিগে রয়েছে অর্থের ঝনঝনানি। অথচ সেখানে জামাল ভুঁইয়াদের মতো দুজন খেলোয়াড়ের অর্থ দিয়েই নাকি নেপালে একটি ফ্রেঞ্চাইজি দল গড়া যায়। আর সেই দলটির কাছেই বাংলাদেশ হারল ফুটবলারদের অগোছল ফুটবল প্রদর্শনে। সাবেক ফুটবলারদের মতে, সালাউদ্দিন প্রথম যেবার ক্ষমতায় ছিলেন, তখন থেকে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে নামলে বাংলাদেশের ফুটবলের এই করুণ দশা দেখতে হতো না। শুধু তাই নয়, এশিয়ার একটি জায়গা দখল করে নিতে পারত ফুটবলাররা। সময়ের সঙ্গে দেশের ফুটবলে অর্থের ঝনঝনানি বেড়েছে কিন্তু বাড়েনি মান। সেই আশি থেকে দুই হাজার সালের ফুটবলের মানটিও নেই এখনকার খেলায়। ফুটবল হচ্ছে একটি আর্ট, পায়ের শিল্প। পাশাপাশি পরস্পরের বোঝাপড়া। তবেই খেলায় বাড়ে সমর্থক।

ক্রীড়াবান্ধব সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও দেশের ক্রীড়া সংগঠকরা ব্যর্থ হচ্ছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তারা পারেনি ক্রীড়াঙ্গনে নতুন কোনো বিপ্লব ঘটাতে। ক্রিকেটেও সেই হতাশার চিত্র। একগাদা বিদেশি কোচ, ট্রেইনার। পদে পদে কোচ, পর্যবেক্ষক। কিন্তু বাইশ গজের লড়াইয়ে ক্রিকেটাররা পারেননি পরিবর্তন ঘটাতে। এ সবই কেবল অদক্ষ পরিকল্পনার ফসল বলে মনে করছেন সাবেক সংগঠকরা। দলবাজি, টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত সংগঠকরা দারুণভাবে ব্যবহার করছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরকে ঘিরে হচ্ছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। অথচ সংগঠকদের কারও যেন ভাববার সময় নেই দেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে কিছু একটা উপহার দেওয়ার। বরং এটিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে পকেটভারী করা যায় সে প্রতিযোগিতাই লক্ষণীয়। ক্রীড়াবিদদের নৈপুণ্যের চেয়ে বরাদ্দের দিকেই যেন মুখিয়ে নতুন প্রজন্মের সংগঠকরা।

ফুটবলের ন্যায় ক্রিকেটও অগোছালোভাবে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। হঠাৎ দু’একজন সাব্বির, মোনেম মুন্না কিংবা সাকিবদের আগমনে কিছুটা আলোক ছটার দেখা মিলে। আর তাতেই মহাখুশি দেশ। দুর্বল সংগঠকদের কারণেই আজ খেলোয়াড়রাও আঙ্গুল তুলছেন। তোয়াক্কা করছেন না সাকিবরা।

ফুটবল ক্রিকেটের ন্যায় আরেকটি সম্ভাবনাময় ইভেন্ট শুটিংয়েও হতাশার চিত্র বহমান। এখানেও সংগঠকদের লুকোচুরি খেলা সম্ভাবনাময় এই ইভেন্টিকে হতাশার সাগরের নিমজ্জিত করছে। শুটাররা নিজেদের পারফরম্যান্সটাই ঠিকমতো তুলে ধরতে পারছেন না। বের হচ্ছে না নতুন নতুন প্রতিভা। ফলে ফেডারেশন কর্তৃক একদল পক্ষপাত শুটাররাই বারবার আন্তর্জাতিক শুটিংয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাতে যাহা ষোল তাহাই সতেরো হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দুষ্ট সংগঠকদের কবলে পড়ে শুটিং ফেডারেশন ক্রমান্বয়ে তলানিতে। শুটিংয়ে আসিফরা যে সম্মান বয়ে এনেছিলেন, সেটাই এখনো সেরা প্রাপ্তি। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শুটিং বিশ্বকাপ।

করোনার কারণে অনেক দেশের শুটাররা সেখানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিল। বিশ্বকাপের এই আসর থেকে বাংলাদেশের শুটিং সংগঠকরা স্বপ্ন দেখেছিলেন পদকের। কিন্তু প্রতিযোগিতার ধোপেই টিকেনি নারী-পুরুষ শুটাররা। দেশের বাকি ফেডারেশনগুলো তো কেবল নামমাত্র। বছরে কিছু প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়েই তাদের কর্মকাণ্ড শেষ।

অথচ দেশের পঞ্চাশ বছরে পঞ্চাশের উপরে ক্রীড়া ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কিন্তু দেশের সুবর্ণজয়ন্তী ক্ষণে কোনো ফেডারেশনই পারেনি দেশকে কিছু উপহার দিতে। চারদিকেই কেবল হতাশার চিত্র।

বাংলার বিবেক /এম এস

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme