অনলাইন ডেস্ক : বাড়ছে গরম, লাগছে হাঁসফাঁস। এ অবস্থায় স্বস্তি দিতে পারে এক গ্লাস ডাবের পানি। শুধু তাই নয়, ডাবের পানিতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডিহাইড্রেশনের মোকাবিলা থেকে শুরু করে শরীরের ইমিউনিটি গড়ে তুলতে জুড়ি নেই ডাবের পানির। এর এমন ১০টি স্বাস্থ্যগুণ তুলে ধরা হলো।
১. ডিহাইড্রেশন: অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীরে ঘামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানি বেরিয়ে যায়। আবার কখনও অতিরিক্ত গরমে বমির ফলেও অতিরিক্ত পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাবার ফলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হয়। ডাবের পানি শরীরে এই ঘাটতি পূরণ করে। এতে আছে কার্বোহাইড্রেড যা এনার্জি বাড়ায়।
২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে: ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি বেশ কার্যকরী। কারণ এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে। মনে রাখবেন ডাবের পানি একটু মিষ্টি হয় তাই ডায়াবেটিসের সমস্যায় অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
৩. হার্টের সমস্যা দূর করে: ডাবের পানি হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। হার্টকে ভালো রাখতে খাবারের তালিকায় ডাবের পানি যোগ করতে পারেন। এটা প্রমাণিত, ডাবের পানি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা অনেকটা কমায়। এটি হাইপারটেনশনও কমায়।
৪. মজবুত হাড়: হাড়কে মজবুত রাখার জন্য দরকার ক্যালসিয়াম ও আরও অনেক পুষ্টিগুণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের জলে ক্যালসিয়াম আছে যেটা হাড়ের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়া রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যেটা হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫. ট্যান: বাইরের রোদ থেকে হওয়া সান ট্যানের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ডাবের পানি উপকারী। কারণ এটি প্রাকৃতিক ট্যান রিমুভারের মতো কাজ করে। শুধু সান ট্যান নয় মুখের অন্য যে কোনো ব্ল্যাক স্পট দূর করতেও সাহায্য করে।
৬. টোনার: ডাবের পানি প্রাকৃতিক টোনার হিসাবে কাজ করে। এটি স্কিনে পিগমেনটেশন, ব্লেমিসেস দূর করে।
৭. স্কিন ইনফেকশন: স্কিনের অন্যান্য সমস্যা বা ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি স্কিনের ইনফেকশন কমায়। কারণ ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ।
৮. অয়েলি ত্বকের সমস্যা: ডাবের পানি ত্বককে চকচকে করার পাশাপাশি, এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ত্বক তৈলাক্ত হলে ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করে এবং স্কিনকে ময়েশচারাইজড করে।
৯. গ্লোয়িং স্কিন: আমরা হয়তো অনেকে জানি না গ্লোয়িং স্কিনের একটি রহস্য হলো ডাবের পানি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে তরতাজা রাখে এবং ত্বক আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয়। যদি রোজ ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায় তাহলে পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
১০. চুলের সমস্যায়: ত্বকের সঙ্গে চুলের সমস্যা ও চুলকে ভালো রাখতেও ডাবের পানি উপকারী। ডাবের পানি স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
সূত্র: জি২৪ঘণ্টা
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply