নওগাঁ : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা।
গতকাল শনিবার (০৩ এপ্রিল )নিয়ামতপুর থেকে রামনগর হয়ে বরেন্দ্র বাজার, গাংগোর বাজার, চৌড়াপাড়া, ধানসূরা, আড্ডা পর্যন্ত বিকেল ৪ টা থেকে রাত প্রায় আটটা পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকে এ সময় উপস্থিত থেকে আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন নিয়ামতপুর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন সাহেব ও তার টিম। এছাড়া মাস্ক পরিধান না করায় আজ আরো ১২ জনকে ২৫০০টাকা জরিমানা করা হয়। ৫০/ থেকে ১০০/ এমনকি ২০০ শত টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।সর্বমোট ১৩টি মামলায় ৭৫০০টাকা জরিমানা করা হয়।এমনকি এক দোকানি মাক্স এর দাম বেশি নেওয়ার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে ৫০০০/পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এবং দুইটি ক্যারাম বোর্ড জব্দ করা হয়,
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা জানান,কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিজে নিরাপদ থাকি, দেশকে নিরাপদ রাখি। করোনার প্রকোপ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা’র নেতৃত্বে মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা করা হয়।এ সময় যাদের মাঝে মাস্ক ছিল না তাদের মাস্ক পরিয়ে দেওয়াসহ সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে নিজ ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে জনসাধারণকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়া পেরেরা আরো বলেন সম্মানিত ব্যবসায়ীবৃন্দকে অনুরোধ করছি করোনার এ ভয়াবহ দুঃসময়ে সহায়তার হাত বাড়ান। মাস্ক থেকে অধিক মুনাফা করার চিন্তা বাদ দিয়ে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করার উদ্যোগ নিন। সেটি না পারলে অন্তত ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করুন। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরিধান করুন। আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply