রাজশাহী : রাজশাহীতে ৮ জন আইপিএল জুয়াড়িকে আটকের পর অভিভাবকের জিম্মায় দিলেন আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) টি-২০ ক্রিকেট বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এই জনপ্রিয় খেলাকে ঘিরে চলছে রমরমা জুয়া। সারাদেশে কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও জড়িয়ে পরছে এই অনলাইন জুয়ার নেশায়।
করোনা ভাইরাসের কারনে মাঠে দর্শক সমাগম না থাকলেও ঘরে বা ক্লাবে বসছে রমরমা অনলাইন জুয়ার আসর। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে দেশের অভিজাত এলাকায় অনলাইনে চলছে এই জুয়া। এমনকি মোবাইল ফোনে বেটিং সাইট এ্যাপস দিয়েও চলছে জুয়া। এই খেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন মানুষ। এমন ঘটনাও আছে নগরীজুয়ে। আবার সবকিছু হারিয়ে হার্টএট্যাকে মারা গেছেন ব্যবসায়ী এমন ঘটনাও আছে রাজশাহী নগরীতে।
রাজশাহী মহানগরীতে কোন অপরাধ থাকবে না। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি ইউনিট।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলা অবস্থায় ৮ জনকে আটক করেছে।
মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষিত ও ধনি পরিবারের কিশোর এবং যুবক ছেলেরা বাবা মাকে না জানিয়ে গোপনে অনলাইনে আইপিএল ক্রিকেট জুয়া খেলায় জড়িয়ে পরছে। ফলে এই সব ছেলেরা ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়া আইপিএল খেলা নিয়ে তারা অনেক রকম ভাবে জুয়া খেলছে। ম্যাচের ফলাফল যেমন কোন ওভারে কথা রান হবে? কোন বলার কত উইকেট পাবে? বা কোন ব্যাটসমান কত রান করবে? এমনকি কোন বলে কত রানা হবে? এসব নিয়ে জুয়া খেলার মাধ্যমে নিজেদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। পরিবারের অশান্তি তৈরি করছে ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরছে। যার ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
আজ বুধবার বেলা ১১ টায় আরএমপি সদর দপ্তরে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক আরএমপি ডিবি কর্তৃক আটককৃতদের অভিভাবকগণের সাথে সরাসরি সচেতনতা ও দিকনির্দেশনামূলক কথা বলেন।
পরবর্তীতে আটককৃতরা ভবিষ্যতে এরুপ কর্মকান্ডে জড়িত হবে না মর্মে মুচলেকা দিলে তাদেরকে তাদের স্ব-স্ব অভিভাবকদের নিকট হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য যে, রাজশাহী মহানগরীতে অপরাধ নির্মূলের লক্ষে পুলিশ কমিশনার কিশোর ও যুব সমাজকে সঠিক পথে রাখার জন্য বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট, মোটিভেশনাল কার্যক্রমসহ নিয়মিত খেলাধূলার আয়োজন করে আসছেন।
পুলিশ কমিশনারে এই ধরনের উদ্যোগকে নগরবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply