রাজশাহী : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মঙ্গলবার শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই দেড় হাজারের বেশি মানুষকে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
ফলে গতকাল মঙ্গলবারের জন্য কেন্দ্রে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন নেয়া হয়েছিল তার সবই শেষ হয়ে যায়। এতে টিকা প্রয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
এর দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর কেন্দ্রে আবারও নতুন করে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়। এরপর প্রয়োগ শুরু হয়। এই দেড় ঘণ্টা ধরে অনেকে লম্বা লাইনের একই স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মানুষের গাদাগাদির মধ্যে তীব্র গরমে তাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে বয়োজ্যেষ্ঠরা বেশি সমস্যায় পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত সবাই টিকা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, যাঁরা কেন্দ্রে আসছেন তাঁদের বেশিরভাগই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন। বলা হয়েছে, এসএমএস পেলেই যেন টিকা নিতে আসেন। কিন্তু এসএমএস না পেলেও আজ (মঙ্গলবার) অনেকে চলে আসেন। রোজা চলে আসছে বলে তাঁরা টিকা নিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। আর এ কারণেই ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় হাসপাতালে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকেই ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা ঘোষণা দেন মোবাইলে এসএমএস যায়নি, তিনি যেন ফিরে যান। আর যাঁর এসএমএস আছে, তিনি থাকবেন। প্রয়োজনে কাজ শেষ দুই ঘণ্টা পরও আসতে পারবেন।
এ ঘোষণার পর অনেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যাঁরা এসএমএস নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা বেশি ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা বলেন, ভ্যাকসিন নেই তো এসএমএস দিয়েছে কেন। স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের বোঝান, কেন্দ্রে ভ্যাকসিন শেষ। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে পৌঁছায়। এরপর আবারও প্রয়োগ শুরু হয়। প্রতিদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত টিকাদান চললেও এ দিন আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেয়া হচ্ছিল।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply