রাজশাহী : মাত্র তিন মাস আগে টাক্টর চাপায় করুন মৃত্যু হয়েছিলো রাজশাহীর বাঘা উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার সুজন আলী’র। সেই ট্রাক্টর চাপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হলো ছেলে শাকিল আহম্মেদ (১৬)।
বৃহষ্পতিবার ভোর চারটার দিকে চারঘাট উপজেলার ভায়া লক্ষিপুর এলাকায় কাসেম মেম্বারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাকিল ট্রাক্টরটিতে হেলপারের কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুকুর খননের মাটি নিয়ে ভায়া লক্ষিপুর একটি ইট ভাটায় সরবরাহের জন্য যাবার পথে কাসেম মেম্বারের বাড়ির সামনে চালক রানা (৩২) নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ট্রাক্টরটি একটি পুকুরের মধ্যে উল্টিয়ে যায়। এ তে ট্রাক্টরের ইঞ্জিলের নিচে চাপা পড়ে ঘটনা স্থলেই মৃত্যবরন করে হেলপার শাকিল। পড়ে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে চারঘাট পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে। চালক রানা একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে নিহত শাকিলের চাচা সুমন জানান, আমার ভাই (শাকিলের আব্বা) প্রতিবেশী মৃত মাজদার রহমানের ছেলে মিটুল হোসেনের ট্রাক্টর গাড়ির চালক ছিলেন। তিন মাস পূবে ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ভাই মারা যায়। পরে ওই গাড়িতে হেলপারের দায়িত্বে কাজ করতেন শাকিল। তারও আজ সেই ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো। শাকিল এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর (৩ নং ওয়ার্ড), সাবেক কাউন্সিলর জুবান মালিথা ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর উপস্থিতিতে নিহত শাকিলের মাকে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে মর্মে একটি সমঝোতা হয়েছে। বাদ যোহর পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যে পিতা পুত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
এ বিষয়ে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গির আলম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরৎ হাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি (তদন্ত) আব্দুল বারি জানান, লোক মুখে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে দুর্ঘটনাটি চারঘাট থানার অন্তরগত। এ বিষয়ে কারও কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply