অনলাইন ডেস্ক : খুলছে স্কুল। শিক্ষার্থীদের বাড়ন্ত বয়স হওয়ায় ছোট হয়ে গেছে স্কুল ড্রেস থেকে শুরু করে জুতা-মোজা। স্কুল ড্রেসের দোকান ও জুতার দোকানে বেড়েছে ভিড়। ক্রেতাসমাগমে মুখর লাইব্রেরি থেকে স্টেশনারি দোকানও।
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ। প্রায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকায় পরতে হয়নি ড্রেস। সম্প্রতি স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত আসার পর পোশাক পরতে গিয়ে দেখতে পায় ছোট হয়ে গেছে তার ইউনিফর্মটি।
রিফাত বলে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমার সবগুলো জামা এখন ছোট হয়ে যাচ্ছে। আর বাসায় যে জামাটা আছে সেটা পরতে ভালো লাগছে না।
তাই স্কুল খোলার একদিন সামনে রেখেই শুক্রবার বাবার সঙ্গে নতুন ড্রেস কিনতে এসেছে রিফাত।
রিফাতের বাবা বলেন, জুতা-কাপড় ছোট হয়ে গেছে। এ জন্য কিনতে এসেছি।
শুধু রিফাতই নয়, বাড়ন্ত বয়সের কারণে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকেই নতুন করে কিনতে হচ্ছে স্কুলড্রেস।
আরেক স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, আনেক দিন স্কুলে না যাওয়ার কারণে জামা-কাপড়-জুতা-বেল্ট সব সরু হয়ে যাচ্ছে।
জুতা ছোট হয়ে যাওয়ায় স্কুল সুয়ের দোকানেও বেচাকেনা চলছে পুরোদমে।
আরও পড়ুনঃ ‘করোনা বাড়লে ফের বন্ধ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’
এক স্কুলশিক্ষার্থীর মা বলেন, বাচ্চাদের তো শারীরিক বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বছর একদম টানা স্কুল বন্ধ তাই এখন নতুন করে ড্রেস ও জুতা কেনা লাগছে।
অনলাইন ক্লাস বাদ দিয়ে দেড় বছর পর ক্লাসরুমে ফেরার প্রস্তুতি। লাইব্রেরিতেও তাই ভিড়টা বেশি। কেউ এসেছেন খাতা কিনতে, কেউবা কলম-পেন্সিল।
আরেক স্কুল শিক্ষার্থীর মা বলেন, অনেক দিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। বাচ্চাদের কিছু দরকার হয়েছে আবার দরকার হয়নি। এখন তো স্কুল-কলেজ খুলবে তাই লাইব্রেরি আসছি কেনাকাটা করতে। এখন ক্লাসে যাবে অনেক দিন পরে তাই কিনতে হবে।
লাইব্রেরির দোকানদার বলেন, অনলাইনে ক্লাস করার সময় আমাদের বিক্রি কিছুটা কম ছিল। এখন একটু ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।
বেশির ভাগ শিক্ষা উপকরণের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ড্রেসের দাম। প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, পাইকারি বাজারে কাপড়ের দাম বাড়াই এর কারণ।
টেইলার্সের মালিক বলেন, পাইকারি বাজারে সমস্ত কাপড়ের দাম বাড়ছে। যাদের কাছে যে কাপড় আছে সবাই দাম বেশি চাচ্ছে। সুতার দাম বেড়ে গেছে তো তাই কাপড়ের দাম বাড়তি।
রোববার থেকে দীর্ঘ দিনের অচলায়াতন ভেঙে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ছন্দ ফিরে পাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরার অপেক্ষায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply