মো. নিজাম উদ্দীন : রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে (রাকাব) সরাকরি নির্দেশনায় কৃষকেরা খুলেছিলেন ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব। কেউ কেউ লেনদেনও করেন সেটিতে। তবে সম্প্রতি আনলাইন ব্যাংকিং করতে গিয়ে ছয় লাখ কৃষকের ব্যাংক হিসাবের কোনো খোঁজ মিলছে না। ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের দাবি, ব্যাংকিং কার্যক্রমকে অনলাইনে নিতে গিয়ে সফটওয়্যার জটিলতায় এ বিপত্তি ঘটেছে।
তবে আইসিটি বিভাগ বলেছে, কোন হিসাব মুছে যায়নি। হিসাবের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনের ভুলের কারণে এটি ঘটেছে। প্রতি তিন মাস পরপর ব্যাংক হিসাবের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতিবেদন জমা দেয় রাকাব।
এতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৬ লাখ ২৯ হাজার ২৮৯টি হিসাব কম। জুনে ছিল ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪১৬টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে সেপ্টেম্বরে কৃষকদের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা আগের ত্রৈমাসিকের ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৫২টিতে নেমে আসে। গত জুনে যা ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, রাকাবকে বাদ দিয়ে হিসাব করলে ওই তিন মাসে হিসাবের সংখ্যা শূণ্য দশমিক ৬৯ শতাংশ বাড়ে। অবশ্য খুঁজে না পাওয়া হিসাবগুলোতে তেমন টাকা ছিল না। তাই এতগুলো হিসাব কমলেও তা আমানতে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি, বরং মোট আমানত ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪০৪ কোটি টাকা।
রাজশাহীর সরদাহ্ শাখার ম্যানেজার নরুন নবী আনোয়ার বলেন, যে হিসাবগুলোতে জিরো ব্যালেন্স আছে সেগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছে। আনেক ডাটা মাইগ্রেশন করতে গিয়ে যে গুলোতে জিরো ব্যালেন্স হয়ে আছে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে এগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। আমাদের এখানে কারেন্ট হিসাব ১৫০টির মত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ টাকার হিসাব খুব কম ছিলো। তবে অন্তত ৫টির মত হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদেও বলেন, রাকাবের কাছে খোয়া যাওয়া হিসাবগুলোর তথ্য ব্যাকআপ আছে কিনা, তা খোঁজ নিতে হবে। ১০ টাকার হিসাব হলেও অনেক হিসাবে এর চেয়ে বেশি টাকা থাকতে পারে। গ্রাহকরা চাইলে যাতে ফেরত দেয়া যায়।
বাংলার বিবেক ডট কম – ০১ জানুয়ারী ২০২১
Leave a Reply