রাজশাহী প্রতিনিধি : রয়েছে ৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ১০০ আনসার সদস্য ছাড়াও নিরাপত্তা কর্মীরদের বেষ্টনিতে ঘেরা রামেক হাসপাতাল। এরপরও নবজাতক চুরি! এমন চুরির ঘটনা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালটিতে এমন নবজাতক চুরির ঘটনা নতুন নয়। যদিও গাইনি ওয়ার্ডগুলো থাকে আনসার পাহারায়। এমন অবস্থায় রোগি ও তাদের স্বজনদের নিরাপত্তায় এতো আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশ্নবিদ্ধ।
চিকিৎসাধীন রোগির স্বজনরা বলছেন, শুধু গেটেই নিরাপত্তা জোরদার। তাই পাস ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে কোনো রোগি ও তাদের স্বজনরা প্রবেশ করতে পারেন না। তার পরেও নবজাতক চুরি হচ্ছে। তাহলে ওয়ার্ডগুলোতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, ‘শুধু গাইনি ওয়ার্ডগুলো ঘিরে ৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আর পুরো হাসপাতাল জুড়ে ৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আর চুরি হওয়া নবজাতকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলে তিনি জানান।’
এদিকে, একদিন পেরিয়ে গেলেও সন্তানকে না পাওয়ায় নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। তারা নাড়ি ছেঁড়া ধন ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়।
রাজপাড়া থানার (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, নবজাতকে উদ্ধারের চেষ্টায় হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সব থানাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগেও হাসপাতালটিতে নবজাত চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটিও করার মত ঘটনাও ঘটেছে। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবজাত চুরির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার শনশনি পাড়ার তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা বেগম।
রামেক হাসপাতালের আনসার কমান্ডার দুলাল আলী জানান, ‘তাদের ১০০ আসনার সদস্য কাজ করেন হাসপাতালে। তারা গেটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৩ জানুয়ারী ২০২১
Leave a Reply