অনলাইন ডেস্ক : পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হবে না বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করি না কেন, সেই সময়ের আগে করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে আমরা মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেব না। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় প্রত্যাশা সংগঠনের আয়োজনে প্রয়াত আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, আমাদেরকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গুরুত্ব দিয়েই আমরা প্রায় একবছর দুই মাসের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ নেই। অনলাইনে পড়াশোনা চলছে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছি, কিছুটা খুলেছি আবার বাধ্য হয়ে বন্ধও করে দিয়েছি। যেখানে ষোলআনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব, সেখানে কিন্তু সেটি খুলে রাখেনি কেউ। আমরা বিস্তার পরিকল্পনা করেছি, কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। আমাদের সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কারও আন্দোলনের তোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চাইতে বন্ধ রাখতেই আমরা বেশি এসএমএস পাচ্ছি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুরক্ষার জন্য বন্ধ রাখতে এসএমএস করে জানাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আন্দোলন করল। অধিকাংশ মানুষ তার বিপরীতে কথা বলছেন। তাই আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব হোসেন খানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আয়োজক সমিতির নেতা-নেত্রী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply