1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

রাজশাহীর তাহেরপুরে পেঁয়াজের বীজে আগুন

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৬৩ বার
রাজশাহীর তাহেরপুরে পেঁয়াজের বীজে আগুন
রাজশাহীর তাহেরপুরে পেঁয়াজের বীজে আগুন

তাহেরপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌর এলাকায় আমন কাটা-মাড়াই পরেই রবি মৌসুমে পেঁয়াজের চাষাবাদ শুরু করেন কৃষকেরা। এর জন্য কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় পেঁয়াজ বীজ বোপন করতে হয় চারা জন্য। কিন্ত এবার বীজ বোপনের শুরুতেই বড় ধাক্কা খাচ্ছেন কৃষকেরা। এমনিতেই এক বছর যাবত দেশের বাজারে খাওয়ার পেঁয়াজের বেসামাল দাম উঠেছে।

পেঁয়াজবীজের অগ্নিমূল্যের কারণে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি নিয়ে চরম সংশয়ে রয়েছেন। চড়া দামের বীজ কিনে পেঁয়াজের আবাদ করলে লাভ হবে কি না, উৎপাদন খরচ উঠবে কি না, তা ভেবে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন কৃষকেরা। রবি মৌসুমে মুলত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে পেঁয়াজের আবাদ করে মার্চ-এপ্রিলে পেঁয়াজ ঘরে তোলা হয়।

রসুলপুর গ্রামের কৃষক ওয়াসিম আকরাম জানান, গতবারের তুলনায় পেঁয়াজবীজের দাম প্রতি কেজি সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকার মতো বেড়েছে। তাই বেশি জমিতে আবাদ নিয়ে কৃষকেরা দোটানায়। গত মৌসুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজবীজ এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দর বিক্রি হয়েছে।

কিন্ত চলতি বছর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই চড়া দামের বীজ কিনে আবাদ করলে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না, দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন তারা। অনেক কৃষক লোকসানে ভয়ে এবার পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষিবিদয়েরা বলছেন, বীজ সংকটে বা অতিরিক্ত চড়া দামের কারণে যদি চলতি বছর পেঁয়াজ চাষ কম হয় তবে, উৎপাদ কমে দেশের বাজারে পেঁয়াজের চরম সংকট দেয়া দিবে। দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার শস্কা রয়েছে। তাই কৃষককেরা যেন পেঁয়াজ চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে না নেই সে দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ প্রনোদনা হিসাবে দেয়া দাবি জানান তারা।

রসুলপুর গ্রামের কৃষক আবু হায়াত মানিক ইচ্ছে ছিল অন্যবারের চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করবেন। গত বছরের এক বিঘা জমির জায়গায় এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তুু পেঁয়াজবীজের অস্বাভাবিক দাম দেখে তিনি হতাশ। তাই তিনি এবার পেঁয়াজ বীজ এখন পর্যন্ত বোপন করেননি। পেঁয়াজ চাষ করবেন কিনা তা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন।

কোয়ালীপাড়া গ্রামে কৃষক সুমন একজন সফল পেঁয়াজ চাষী। প্রতি বছরেই তিনি পেঁয়াজ চাষ করেন। কথা হয় তার সাথে, তিনি বলেন, প্রতি বছর তিনি কার্তিক মাসের শেষের দিকে বীজ বোপন করেন। এক বিঘা জমিতে এক কেজি বীজ লাগে। তার মানে গত বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই পেঁয়াজ আবাদের খরচ বিঘায় চার হাজার টাকা বেশি।

কিন্ত এবার পেঁয়াজ বীজের আকাশ ছোয়া দাম দেখে এখন পর্যন্ত বীজ বোপন করেনি। উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা তার ভয় লাগছে। তিনি সরকারী ভাবে পেঁয়াজ বীজ কৃষকের মধ্যে প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া দাবি জানান।

কৃষকদের অভিযোগ, বীজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগে বীজ ব্যবসায়ীদের একটি চক্র দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, সরকারী ভাবে রবিসশ্য মৌসুমে কৃষকদের মুসুর, সরিষা, গম, মটর প্রনোদনা হিসাবে বিনামুল্যে প্রদান করা হলেও পেঁয়াজ বীজ কৃষকদের মধ্যে প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে না। অথচ দেশে খাওয়ার পেঁয়াজের আকাল চলছে।

তাহেরপুর পৌর কৃষি কর্মকর্তা আঃ মতিন জানান, খাওয়ার পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াই পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের মধ্যে। সে অনুপাতে বীজ উৎপাদন বাড়েনি।

এছাড়াও গত বছর শিলাবৃষ্টি হওয়ায় মাঠে থাকা অবস্থায় বীজের জন্য রাখা পেঁয়াজগাছ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার অনেক কৃষক বেশি দাম দেখে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন, বীজের জন্য রাখেননি। তবুও কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষ করবেন।

মতিহার বার্তা ডট কম – ৬ নভেম্বর, ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme