1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

রাজশাহীতে স্বর্ণের দোকানে চুরি; জড়িত পুঠিয়ার রিংকু এখনো অধরা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৪৪ বার
রাজশাহীতে স্বর্ণের দোকানে চুরি; জড়িত পুঠিয়ার রিংকু এখনো অধরা
রাজশাহীতে স্বর্ণের দোকানে চুরি; জড়িত পুঠিয়ার রিংকু এখনো অধরা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীতে জুয়েলার্স থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও দুই চোর গ্রেফতার হলেও বাকি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে চোরাইকৃত বাকি স্বর্ণালংকার ক্রয় করেছেন পুঠিয়ার রিংকু নামের মোমিন জুয়েলার্স এর কারিগর। পুলিশের কাছে এ তথ্য থাকলেও অজ্ঞাত তারণে অধরাই রয়েগেছেন পুঠিয়ার রিংকু।

গত ১৮ নভেম্বর ২০২১ রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার নিউ শারমিন জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালংকার চুরি হয়। ২৩ টি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের আংটি ও একটি ব্রেসলেট চুরি করে নিয়ে যায় চোর। যাহার মুল্য পৌনে চার লাখ টাকা।

গত ২৭ নভেম্বর ২০২১ সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে নগরীর মতিহার থানার মেহেরচন্ডি বুথপাড়া থেকে প্রধান চোর মো. আবির হোসেন আরিফকে গ্রেফতার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

এসময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে তিনটি আংটি উদ্ধার হয় শুধু। গ্রেফতারকৃত আসামী আবির হোসেন জানায়, অবশিষ্ট স্বর্ণালংকার মেহেরচন্ডির বিপুল সরকার ও পুঠিয়ার রিংকুর কাছে বিক্রয় করেছে। পরে বিপুল সরকারকেও গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও গ্রেফতার করা হয়নি রিংকুকে! অথচ রিংকু নিজেই স্বীকার করে বলেন, আমি না জেনে আরিফের কাছ থেকে আড়াই ভরি ওজনের মোট ১০টি আংটি ক্রয় করেছি। যাহার মুল্য এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। রিংকু পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণনপুর ঘোষপাড়া এলাকার সুবল ঘোষের ছেলে। সে পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড মার্কেটের মোমিন জুয়েলার্স এ কারিগর হিসেবে কাজ করেন। রিংকু জানায় চোরাইকৃত আংটি আমি ৪৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। এর মধ্যে অবশিষ্ট ৪ হাজার টাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আরিফকে দিয়ে এসেছি।

রিংকুর মহাজন মোমিন হোসেন জানান, এর আগেও এমন চোরাই সোনা ক্রয়ের অভিযোগে মিমাংসা করা হয়েছে। সেই সাথে তাকে নিষেধ করা হয়েছে এ ধরনের সোনা না ক্রয় করার জন্য।

তিনি আরো জানান, আমি শুনেছি রাজশাহীর একটি দোকানে চুরি যাওয়া আংটি ক্রয় করেছে রিংকু। এবার তার দায়ীত্ব আমি নিতে পারবোনা বলেও জানান তিনি।

দোকান মালিক নাজিরুল ইসলাম মিঠু জানান, চুরি যাওয়া সোনার মধ্যে মোট তিনটি আংটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত শেষে আমাকে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উত্তম।

তবে পুঠিয়ার রিংকু নামের এক স্বর্ণের কারিগর বাকি আংটি ক্রয় করেছে। সে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে। কিন্তু যে ১০টি আংটি ক্রয় করেছে তার বর্তমান বাজার মুল্য এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এত কম টাকায় মিটমাট করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই উত্তম জানান, আসামি আবির হোসেন আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে পুঠিয়ার রিংকুসহ উঠে আসে আরো দুই জনের নাম। তবে তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওই তদন্ত কর্মকর্তা।

বাংলার বিবেক/  জি আর

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme