1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

প্রতিপক্ষের হাসুয়ার কোপে ছয়দিন পর মৃত্যু হলো গোদাগাড়ি এলাকার মামুনের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৪৫ বার
প্রতিপক্ষের হাসুয়ার কোপে ছয়দিন পর মৃত্যু হলো গোদাগাড়ি এলাকার মামুনের
প্রতিপক্ষের হাসুয়ার কোপে ছয়দিন পর মৃত্যু হলো গোদাগাড়ি এলাকার মামুনের

এসএম বিশাল: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গোদাগাড়ী গৌগ্রাম ইউনিয়নের তেরপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেন সূর্য’র ছেলে সামুমের বিরুদ্ধে।

গুরুতর আহত মামুনুর রশিদ মামুন (২৭) রামেক হাসপাতালে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত সোমবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত মামুন গোদাগাড়ী গৌগ্রাম ইউনিয়নের তেরপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

উক্ত ঘটনাটি গত (০১ ফেব্রুয়ারি) সংঘটিত হলেও গোদাগাড়ী থানা মামলা নিয়েছে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি)। মাসুমকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার মামলা নং ০৬/২০২২।

হাসুয়ার কোপের আঘাতে গুরুত্বর আহত মামুনকে প্রথমে রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারিরীক অবস্থার অবগতি হলে তাকে ‘আইসিইউ’তে স্থানান্তর করার কয়েকদিন পরে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মাসুমের হাসুয়ার কোপের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেঙ্গে যায় এবং বুকে ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহৃও ছিল বলে জানায় মর্গের দায়িত্বরতরা।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ০১ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মৃত মামুনের বাবা আব্দুর রহিমের ফসলী জমিতে অভিযুক্ত মাসুমের কয়েকটি ছাগল সরিষার ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত মাসুমের মা’র সাথে মামুনের বাবা আব্দুর রহিমের ঝগড়া হয়। উক্ত বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধ নেবার উদ্দেশ্যে ঐদিন দুপুরে ধাতমা এলাকায় অবস্থান নেয় অভিযুক্ত মাসুম ও তার সহোযোগিরা।

ঐ রাস্তা দিয়ে মামুনের বাবা আব্দুর রহিম ও তার ভাগনি মুনিরা ভ্যান যোগে যাবার পথে গাড়ির গতিপথ রোধ করে মাসুম ও তার সহোযোগিরা। ভ্যান থেকে মামুনের বাবা আব্দুর রহিমকে নামিয়ে বাঁশ ও লাঠিশোটা দিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারধর করে মাসুম।

বিষয়টি নিয়ে আব্দুর রহিম ও মামুন থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ায় অভিযুক্ত মাসুম আরো রাগান্বিত হয়ে ঐদিন বিকেলে বহিরাগত গুন্ডাবাহিনী ভাড়া করে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা দিয়ে সরিষার ক্ষেতে কর্মরতবস্থায় মামুনকে একা পেয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি আঘাত করে এবং তাদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মামুনের মাথায় সজোড়ে আঘাত করে স্থান ত্যাগ করে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মামুনকে সরিষার ক্ষেত থেকে গুরুত্বর আহতবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা এবং প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২ জানুয়ারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডের ভর্তির একদির পর তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মামুন মৃত্যুবরণ করেন।

মামুনের ফুপাতো বোন আয়শা আক্তার জুলি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভিযোগ গ্রহণ করেননি। তবে, ঘটনার কয়েকদিন পর নানাচাঁপে থানায় মামলা নিলেও অভিযুক্ত মাসুম প্রভাবশালী হওয়াতে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রেফতারে তেমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মামুনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিহত মামুনের বোন জামাই ডলার জানান।

এবিষয়ে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম বলেন, আসামীকে গ্রেফতাদের সর্বোচ্চ তৎপরতা বিদ্যমান রয়েছে। আসামী এখন পলাতক রয়েছে। যেভাবেই হোক আমরা তাকে গ্রেফতার করে ন্যায় বিচারের নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতের কাছে সোপর্দ করবো। তবে, মৃত মামুনের বোন জামাই ডলার বলেন, আসামী মাসুম গ্রামের আশেপাশেই ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অনেকেই অভিযুক্ত মাসুমের দেখা পেলেও থানা পুলিশের চোঁখে ধরা পড়ছেনা আসামী। বিষয়টি অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা আসামী মাসুমের বিচার চাই।

বাংলার বিবেক/  জি আর

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme