অনলাইন ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় হাউজিং এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী শেফালী বিশ্বাসকে (৫৫) আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লকের ২৭৫ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, গৃহবধূ স্ত্রী শেফালী বিশ্বাস ও তার স্বামী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার হাউজিং এলাকায় নিজ বাড়ির ২য় তলায় বসবাস করতেন। বাড়ির নির্মাণাধীন ৩ তলার কাজ দেখাশুনা করতে প্রকৌশলী আনন্দ কুমার ১৮ এপ্রিল বিকেলে ছাদে উঠেন। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ২য় তলায় নেমে দেখতে পান স্ত্রীর নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তার শাড়ি ও শরীরের একাংশ ছিল আগুনে পোড়া। এছাড়া শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্নসহ ঘরের মেঝেতে রক্ত ও ছাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ ঝিনাইদহ থেকে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। দুর্বৃত্তের দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করেছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি। পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো।
নিহতের স্বামী প্রকৌশলী আনন্দ কুমার জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসে দুর্বৃত্তরা আচমকা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এছাড়া তিনি অন্য কিছু ধারনা করতে পারছেন না।
নিহত শেফালীর ভাই অধ্যাপক দীপক বিশ্বাস জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার ধারণা। তবে আগুনে ওই নারীর শরীরের যে সামান্য অংশ পুড়েছে এতে মৃত্যু হতে পারে না। রহস্যঘেরা হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধারসহ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তিনি পুলিশকে অনুরোধ জানান।
তালাক দিয়ে ছোট ভাইকে বিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যাতালাক দিয়ে ছোট ভাইকে বিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে হত্যা
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। জলদি হত্যাকাণ্ডের ক্লু ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply