অনলাইন ডেস্ক : রংপুরের পীরগাছা থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করতে যান স্বামী মানিক। এ সময় সেই স্ত্রীর খুনি হিসেবে পুলিশের হাতে আটক হলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে মানিক পুলিশকে জানান, তালাকনামায় স্বাক্ষর না দেয়ায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুঁতে রাখে সে।
শনিবার (০৪ জুন) সকালে থানায় গেলে মানিকের আচরণে পুলিশের সন্দেহ হয়। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে এ তথ্য জানান।
এরপর বিকেলের পুলিশ উপজেলার পারুল ইউনিয়নের কুটিয়ালপাড়া গ্রামে মাটি খুঁড়ে স্ত্রী নিলির মরদেহ তোলা হয়। এ সময় গ্রামের শত শত লোক সেখানে ভিড় করেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেসচন্দ্র জানান, থানায় স্ত্রীর নিখোঁজের জিডি করতে যাওয়া মানিকের আচরণে সন্দেহ হলে আমরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে অপরাধের সব কথাই খুলে বলেন মানিক।
ওসি জানান, ১২ বছরের ছেলে মেহেদীসহ নিলিকে রেখে সম্প্রতি জামিলা নামে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে মানিক। নতুন স্ত্রীর শর্ত পূরণ করতে গত বুধবার জোন করে তালাকনামায় নিলির স্বাক্ষর নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিলিকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলে এবং পরে মা রোকেয়া ও ভাই তৌহিদের সহায়তায় নিলির মরদেহ বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখা হয়।
এলাকাবাসী অভিযোগ, মানিকের চরিত্র আগে থেকেই ভালো ছিল না। নির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকলেও মাদকাসক্ত ছিলেন তিনি।
নিহত নিলির ছেলে মেহেদী হাসান জানায়, প্রায় তার বাবা তার মা নিলিকে টাকার জন্য মারপিট করতেন। নিলি এলাকার একটি হোটেলে রান্নাবান্নার কাজ করে সংসার চালাতেন।
নিলির বাবা আরশাদ আলী বাদী করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও তার মা রোকেয়া ও ভাই তৌহিদকেও আসামি করা হয়েছে। তবে পলাতক থাকায় তাদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় নিলির মরদেহ রংপুর মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলার বিবেক /এম এস
Leave a Reply