1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

রাজশাহীতে আমণের ভরা মৌসুমে সার সঙ্কট, ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ১০৭ বার
রাজশাহীতে আমণের ভরা মৌসুমে সার সঙ্কট, ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ
রাজশাহীতে আমণের ভরা মৌসুমে সার সঙ্কট, ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ

মঈন উদ্দীন: রাজশাহীতে আমনের ভরা মৌসুমে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপিসহ অন্যান্য সার। এতে বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ।

এ অঞ্চলে সারের চাহিদার বিপরীতে অপ্রতুল্য সরবরাহ। তবে এমওপি এবং টিএসপি সারের ঘাটতি বেশী। রাজশাহীতে জুলাই মাসে প্রায় ১৩৬ মেট্রিক টন এমওপি সারের ঘাটতি ছিল। চলতি মাসে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো ৮০০ মেট্রিক টন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪২ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। রাজশাহীতে চলতি মাসে সারের বরাদ্দ হচ্ছে টিএসপি ৬৬৩ মেট্রিক টন, এমপি ৮০০ মেট্রিক টন ও ডিএপি এক হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন। শুধুমাত্র নওহাটা পৌরসভায় এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৬০ বিঘা। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তার হিসেব অনুযায়ী প্রতি বিঘা জমিতে প্রথমেই দরকার হয় ডিএপি ১৫ কেজি, এমওপি ১০ ও ইউরিয়া ১০ কেজি। সেখানে ১১২ মেট্রিক টন এমওপি অর্থাৎ দুই হাজার ২৩২ বস্তা। ডিএপি ১৬৭ মেট্রিক টন অর্থাৎ তিন হাজার ৩৪৮ বস্তা প্রয়োজন। নওহাটা পৌরসভায় বিসিআইসি ডিলারসহ বিএডিসি ডিলার সাতজন। এদের বরাদ্দকৃত সার হচ্ছে-টিএসপি ২৩১ বস্তা, এমওপি ২০৩ বস্তা, ডিএপি ৩৫০ বস্তা। মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ সারও বরাদ্দ নাই এই পৌরসভায়। আবার বরাদ্দকৃত সারও সরবরাহ পাচ্ছে না ডিলাররা। এর চেয়ে বেশী সারের ঘাটতি ইউনিয়নগুলোতে

শুরু থেকেই উপজেলার কৃষকেরা এমওপি সার সংকটে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে পটাশ সার কেনে জমিতে দিচ্ছেন। এক শ্রেনীর অসাধু ডিলার বেশি মোনাফার জন্য কৃষকদের জিম্মি করে সার বিক্রি করছেন। তবে কোন প্রকার দোকানের রশিদ না দিয়ে সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছেন। তানোর

উপজেলা বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু জানান,চাহিদার চেয়ে জুলাই মাসে এমওপি সারের বরাদ্দ কম ছিল। ৩২ ডিলারকে ৮০ বস্তা করে দেয়া কথা থাকলেও কয়েকজন ডিলার গুডাউনে সার না থাকায় তুলতে পারেনি। এবরাদ্দ বিএডিসির। তবে বিসিআইসি বরাদ্দ দিলে সংকট কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বিএডিসি যে ডিলার গুলো পটাশের বরাদ্দ পেয়েছেন। তারা ইচ্ছা মত দামে বিক্রি করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাদের উপরে সরকারের কোন তদারকি নাই বলে অভিযোগ উঠেছে।

তবে সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme