1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

ক্যাম্পাসে হঠাৎ খাবারের দোকান বন্ধে ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১৮৫ বার
ক্যাম্পাসে হঠাৎ খাবারের দোকান বন্ধে ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসে হঠাৎ খাবারের দোকান বন্ধে ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

আল্-মারুফ, রাবি প্রতিনিধি: সময়সীমা নির্ধারণ করে ক্যাম্পাসের অস্থায়ী দোকানপাট তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের আশপাশের খাবারের হোটেলসহ সব ধরনের অস্থায়ী দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন দোকানদাররা।

দোকানদারদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চা/পান/হোটেল/ফাস্টফুড/জুস/সবজি/মুদি/কাপড়ের দোকান পরিচালনা করছেন। তাই আগামী ২৫/০৮/২০২২ তারিখের মধ্যে সমস্ত জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেবে।

এ নিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ‘আমাদের মাত্র ২-৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের তো সব খাবারের আইটেম। এ সময়ের মধ্যে আমরা এসব জিনিস কীভাবে কী করব? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থায়ী শেডে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে আমাদের উঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা বছরের পর বছর ধরে এখানে ব্যবসা করেছি, আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

আনোয়ার হোসেন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকির এক দোকান মালিক বলেন, ‘আজ দোকান বন্ধ রেখেছি স্যারের (রেজিস্ট্রার) কাছে যাওয়ার জন্য। আমরা গরিব মানুষ। আমরা কী করে খাবো? কাকে দোকান দেবে আর কাকে দেবে না, সেটা প্রশাসন জানে।’

আবার শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখানে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। তাদের মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এসব দোকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের মতো। এখানে শিক্ষার্থীরা খাবে, আড্ডা দেবে। এটা ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কল্পনাই করা যায় না। টুকিটাকি চত্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মার মতো একটা জায়গা। এখন আমরা কয়েকজন আছি। আমরা এখন যাবো, সবার পক্ষ থেকে স্যারের সঙ্গে কথা বলবো।

ভোগান্তিতে পড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সকাল ৯টায় ক্লাস ছিল। ক্যাম্পাসেই খাবো চিন্তা করে এসেছিলাম। এসে দেখি সব বন্ধ, এখন না খেয়েই ক্লাস করলাম। এভাবে হঠাৎ করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অযাচিত। তাদের সঙ্গে ভাড়া বা অন্য কোনো ইস্যু থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা যেত।

এদিকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে চিঠি ইস্যু করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলছেন, ‘আমরা শুধুমাত্র চিঠি ইস্যু করেছি। এ ব্যাপারে এস্টেট শাখার সঙ্গে কথা বললে, তারা বলতে পারবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ আলী বলেন, ‘আমরা তাদের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। ২৮ তারিখের আগ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে আমরা অভিযানে নামবো।’

 

বাংলার বিবেক /এএম

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme