1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

পবিত্র কোরআনে মানুষের শ্রেণিবিভাগ!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪৮৬ বার
ফাইল ফটো

পৃথিবীতে মহান আল্লাহ কত ধরনের মানুষের সৃষ্টি করেছেন তার কোনো হিসাব নেই। কত রঙের, বর্ণের, জাতের, ধর্মের মানুষ পৃথিবীতে বাস করে তার সঠিক হিসাব বের করাও দুষ্কর। পবিত্র কোরআন মানুষকে মৌলিকভাবে তিন ভাগে ভাগ করেছে। আমরা সে বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

ঈমানদার

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূচনাই করেছেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের আলোচনা দিয়ে, যাদের বলা হয় ঈমানদার। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘এটা সে কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াত, যারা গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, নামাজ কায়েম করে এবং তাদের আমরা যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে। আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা আপনার ওপর নাজিল করা হয়েছে এবং যা আপনার আগে নাজিল করা হয়েছে, আর যারা আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২-৪)

যারা এভাবে অন্তরে মহান আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে গায়েবের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখে, মৌখিক ইবাদত, শারীরিক ইবাদত ও আর্থিক ইবাদত করে, মহান আল্লাহ তাদের সফল বলে ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তারাই তাদের রব-এর নির্দেশিত হেদায়াতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ০৫)

অবিশ্বাসী (কাফির)

তারাই কাফির, যারা আল্লাহর বাণী তাদের কাছে পৌঁছানোর পরও তা গ্রহণ করেনি, কোনো দিন করবেও না। তারা মহান বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের মালিক আল্লাহ তাআলা একমাত্র প্রভু হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। মহান আল্লাহ তাদের ব্যাপারে বলেন, ‘যারা কুফরি করেছে আপনি তাদের সতর্ক করুন বা না করুন, তারা ঈমান আনবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ০৬)

তাদের এই অবস্থার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। তাদের স্বেচ্ছাচারী মন ও অবান্তর চিন্তা-চেতনা তাদের আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে রাখে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি আপনি লক্ষ করেছেন তাকে, যে তার খেয়াল-খুশিকে নিজ উপাস্য বানিয়ে নিয়েছে? আর তার কাছে জ্ঞান আসার পর আল্লাহ তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তিনি তার কান ও হৃদয়ে মোহর করে দিয়েছেন। আর তিনি তার চোখের ওপর রেখেছেন আবরণ। অতএব আল্লাহর পরে কে তাকে হেদায়াত দেবে? তবু কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ২৩)

তবে এর অর্থ এই নয় যে ঈমানদাররা দাওয়াতের কাজ ছেড়ে দেবে; বরং ঈমানদারদের মহান আল্লাহ দাওয়াতের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা তাদের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। হেদায়েত যেহেতু আল্লাহর হাতে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দেবেন। কিন্তু ঈমানদার তাকে ঈমানের পথে দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব পালন করায় সে অফুরন্ত সওয়াব পাবে।

মুনাফিক

পবিত্র কোরআনে এদের পরিচয় দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান এনেছি, অথচ তারা মুমিন নয়। আল্লাহ ও মুমিনদের তারা প্রতারিত করে। বস্তুত তারা নিজেদেরই নিজেরা প্রতারিত করছে, অথচ তারা তা বুঝে না। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮-৯)

এরা এতটাই ধোঁকাবাজ যে এদের মুখে এক অন্তরে আরেক থাকে। তারা ঈমানদারদের কাছে এসে দাবি করে যে তারা মুমিন, আসলে বাস্তবে তারা কাফির। তাদের ধারণা, এতে তারা ঈমানদারদের সঙ্গে সূক্ষ্মভাবে প্রতারণা করছে, আসলে তারা নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কারণ তাদের এই ব্যাধি তাদের দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস করে দেবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের অন্তরে আছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য আছে কষ্টদায়ক শাস্তি। কারণ তারা মিথ্যাবাদী।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১০)

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে খাঁটি ঈমানদারদের দলভুক্ত করুন।

বাংলার বিবেক ডট কম – ১৪ জানুয়ারি, ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme