1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চলছেই, নাফ নদে সতর্কতা

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩ বার
সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চলছেই, নাফ নদে সতর্কতা
সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চলছেই, নাফ নদে সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তাদের গোলাগুলির শব্দ সীমান্তের এপারেও শোনা যাচ্ছে। গতকাল রবিবার ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে রাখাইনে মর্টার শেল ও গোলাগুলির জোরালো শব্দ শোনা গেছে। দুপুরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এলেও বিকেলে আবার শুরু হয় গোলাগুলি।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে মিয়ানমার সীমান্ত অনেক দূরে। তবে আজ (রবিবার) ভোরে মর্টার শেল ও গোলাগুলির ভারি শব্দে আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে উঠেছে। এর আগে এভাবে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাইনি।’

হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, ‘রাখাইনে গোলাগুলির ঘটনায় তিন দিন ধরে আমরা বিকট শব্দ শুনছি।

এমনকি মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িঘর কাঁপছে। অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বের হননি। রাখাইনের সংঘাত দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি কিছুটা কমলেও এখনো পুরোপুরি শান্ত হয়নি বলে ধারণা করছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তিন দিন গোলাগুলির বেশ জোরালো শব্দ শুনেছি। আজ (রবিবার) সকাল থেকে আমাদের সীমান্তের ওপারে রাখাইনে গোলাগুলি কিছুটা কমেছে বলে মনে হচ্ছে।’

অন্যদিকে চার দিন ধরে নাফ নদের সীমান্তের ওপারে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টার আশঙ্কা করছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে নাফ নদে টহল জোরদার করেছে কোস্ট গার্ড। স্পিড বোট ছাড়াও কাঠের ট্রলারে নাফ নদের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত কোস্ট গার্ডকে টহল দিতে দেখা গেছে।

কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে সীমান্তের নাফ নদে আমাদের টহল চলমান রয়েছে। নাফ নদ অতিক্রম করে কোনো রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো গোষ্ঠীর সদস্যদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগেও কোস্ট গার্ড নাফ নদ দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি নৌকা প্রতিহত করেছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিও সীমান্তে তাদের নজরদারি ও টহল অব্যাহত রেখেছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িসংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রবিবারও কোনো গোলাগুলির শব্দ এপার থেকে শোনা যায়নি। তবে সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় সেদেশের সরকারবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মির (এএ) জওয়ানদের বাংকার করতে দেখা যাচ্ছে।

সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, আনুমানিক ১০০ গজ দূরে দূরে মাটি খুঁড়ে এসব বাংকার নির্মাণ করতে তাঁরা দেখছেন। এ জন্য শনিবার বিকেল থেকে সেখানে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে আসা হয়।

এদিকে সীমান্তের ওপারে অশান্ত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্তের এপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সেগুলো আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, নিরাপত্তার আশঙ্কায় অনেক অভিভাবকই সন্তানদের স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত থাকায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বাড়ছে না।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme