1. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  2. md.masudrana2008@gmail.com : admi2017 :
  3. info.motaharulhasan@gmail.com : motaharul :
  4. email@email.em : wpadminne :

পোশাক নিয়ে নিত্য বিতর্কে, অভিনেতার সঙ্গে গোপনে ‘বিয়ে’! অভিনয় ছেড়ে কি এ বার রাজনীতিতে নেহা?

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১৬ বার
পোশাক নিয়ে নিত্য বিতর্কে, অভিনেতার সঙ্গে গোপনে ‘বিয়ে’! অভিনয় ছেড়ে কি এ বার রাজনীতিতে নেহা?
পোশাক নিয়ে নিত্য বিতর্কে, অভিনেতার সঙ্গে গোপনে ‘বিয়ে’! অভিনয় ছেড়ে কি এ বার রাজনীতিতে নেহা?

তামান্না হাবিব নিশু: পোশাক নিয়ে বেশির ভাগ সময় তাঁকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিনয়জগতের জমকালো আলোর রোশনাই ছেড়ে কি তবে রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়লেন নেহা শর্মা?

মডেলিংজগতে কেরিয়ার শুরু। বড় পর্দায় ধর্মেন্দ্র, অনিল কপূর, ববি দেওল, সানি দেওল, অজয় দেবগন, সইফ আলি খান, বিবেক ওবেরয়, ইমরান হাশমির মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বাদ পড়েননি দক্ষিণী ফিল্মজগতের জনপ্রিয় তারকা রামচরণও। পোশাক নিয়ে বেশির ভাগ সময় তাঁকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। অভিনয়জগতের রোশনাই ছেড়ে কি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়লেন নেহা শর্মা?

১৯৮৭ সালের ২১ নভেম্বর বিহারের ভাগলপুরে জন্ম নেহার। বাবা-মা এবং ভাইবোনের সঙ্গে বিহারেই থাকতেন নেহা। সেখানেই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য বিহার থেকে দিল্লি যান তিনি। ফ্যাশন ডিজ়াইনিং নিয়ে দিল্লির কলেজ থেকে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

শৈশব থেকেই হাঁপানির কারণে বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকতেন নেহা। শারীরিক ভাবেও কিছুটা দুর্বল ছিলেন তিনি। পড়াশোনা ছাড়াও ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় নেহার।

নেহা প্রশিক্ষিত কত্থক নৃত্যশিল্পী। এ ছাড়াও, লন্ডনে গিয়ে স্ট্রিট হিপ হপ, সালসা, মেরেঙ্গু এবং জ্যাজ়ের মতো বিভিন্ন ধরনের নাচ শিখেছেন তিনি।

পোশাকশিল্পী হিসাবে কেরিয়ার গড়ার পাশাপাশি মডেলিংও করতে শুরু করেন নেহা। সেখান থেকে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। অভিনয় করতে চান বলে একাধিক জায়গায় অডিশনও দিতে শুরু করেন তিনি। দক্ষিণী ফিল্মজগতের মাধ্যমে বড় পর্দায় হাতেখড়ি হয় তাঁর।

২০০৭ সালে দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালক পুরী জগন্নাথের হাত ধরে ‘চিরুথা’ নামের তেলুগু ছবিতে আত্মপ্রকাশ নেহার। এই ছবিতে চিরঞ্জীবী-পুত্র রামচরণের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।

কানাঘুষো শোনা যায়, প্রথম ছবির সহ-অভিনেতা রামচরণের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নেহা। গোপনে নাকি বিয়েও সেরে ফেলেন দুই তারকা। রামচরণ এবং নেহার মধুচন্দ্রিমা নিয়েও কম জল্পনা হয়নি। বহু বছর পর নেহার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা নিজেই।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে রামচরণ বলেছিলেন, ‘‘নেহার সঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলাম আমি। তার পর কানে আসতে থাকে আমরা নাকি কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছি। এমনকি মধুচন্দ্রিমাতেও গিয়েছি। তখন আমি অবিবাহিত ছিলাম। তবে উপাসনার (রামচরণের স্ত্রী) সঙ্গে তখন আমার ভাল বন্ধুত্ব ছিল। আমার আর নেহার বিয়ের কথা উপাসনার কানেও পৌঁছেছিল। ও বুঝতে পেরেছিল যে সব খবরই রটানো হয়েছে। বিয়ের পর আমরা চাইনি এই ধরনের খবরআমাদের বিবাহিত জীবনে কোনও প্রভাব ফেলুক।’’

২০০৭ সালে কেরিয়ারের প্রথম ছবির পর দু’বছর আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি নেহাকে। ২০০৯ সালে ‘কুররাদু’ নামে একটি তেলুগু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তার পরেই বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ করেন অভিনেত্রী।

২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ক্রুক’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পা রাখেন নেহা। এই ছবিতে ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।

‘ক্রুক’ মুক্তির পর ২০১২ সালে ‘তেরি মেরি কহানি’ নামের একটি ছবিতে দেখা যায় নেহাকে। তবে মুখ্যচরিত্রে নয়, শাহিদ কপূর এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস অভিনীত এই ছবিতে ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করেন নেহা।

২০১২ সালের পর থেকে ‘কয়া সুপার কুল হ্যায় হম’, ‘জয়ন্তভাই কি লভ স্টোরি’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ২’, ‘ইয়ঙ্গিস্তান’, ‘মুবারকন’, ‘তুম বিন ২’ নামের একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন নেহা। ‘কৃতি’ এবং ‘বিকল্প’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।

হিন্দি এবং তেলুগু ভাষার পাশাপাশি ম্যান্ডারিন, তামিল, পঞ্জাবি, মালয়ালম ভাষার ছবিতেও অভিনয় করেন নেহা। ২০১৭ সালের পর তিন বছর আর অভিনয় করেননি তিনি। ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘তানহাজি’ ছবিতেও অভিনয় করেন নেহা।

২০২৩ সালে ‘জোগিরা সা রা রা রা’ ছবিতে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় নেহাকে। ২০২৩ সালের পর থেকে আর বড় পর্দায় নেহার অভিনয় দেখা যায়নি।

বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটির পর্দাতেও দেখা গিয়েছে নেহাকে। ‘ইললিগ্যাল’ এবং ‘শাইনিং উইথ দ্য শর্মাস’ নামের ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেন তিনি।

টোনি কক্কর, নেহা কক্কর, স্টেবিন বেন এবং বি প্রাকের মতো সঙ্গীতশিল্পীদের মিউজ়িক ভিডিয়োতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে নেহাকে। কানাঘুষো শোনা যায়, নেহার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নাকি সমস্যায় পড়েছিলেন বলিপাড়ার ছবিনির্মাতারা।

বলিপাড়ায় অন্দরমহল সূত্রে জানা যায়, ‘কয়া সুপার কুল হ্যায় হম’ এবং ‘জয়ন্তভাই কি লভ স্টোরি’ ছবি দু’টির শুটিং একসঙ্গে করছিলেন নেহা। সেই সময় শুটিংয়ের দিন নিয়ে ছবিনির্মাতাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল অভিনেত্রীর।

কানাঘুষো শোনা যায়, ‘ইয়ঙ্গিস্তান’ ছবির নায়ক জ্যাকি ভাগনানির সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়ান নেহা। ২০১৪ সালে নাকি সম্পর্কে জড়ান দুই তারকা। কিন্তু এক বছর পর তাঁদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, নেহার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি জ্যাকি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। সেই কারণেই নাকি জ্যাকির সঙ্গে ঝামেলা হত নেহার। কানাঘুষো শোনা যায়, তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির কারণেই নাকি জ্যাকির সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন নেহা।

নেহার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বলি অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান জ্যাকি। কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুই তারকা।

নেহার বোন মডেল-অভিনেত্রী আয়েশা শর্মা। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সত্যমেব জয়তে’-তে জন আব্রাহামের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় আয়েশাকে।

বোন আয়েশার সঙ্গে ফোটোশুট করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন নেহা। দুই বোনের সম্পর্ককে সমকামের সংজ্ঞায় ফেলেন নেটাগরিকদের একাংশ। ফ্রেমে নেহা এবং আয়েশাকে একে অপরের পায়ে পা তুলে ছবি তুলতে দেখা যায়। ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই কটাক্ষের শিকার হন দুই বোন।

কখনও সাদা-কালো অন্তর্বাস, কখনও বা স্নানের পোশাক পরার কারণে বিতর্কে জড়ান নেহা। অভিনেত্রীর ‘হট লুক’ নিয়ে আলোচনাও হয় বিস্তর। ছবির জেরে চর্চায় এলেও ২০২৩ সালের পর বলিউড ছবিতে খুব একটা দেখা যায়নি নেহাকে।

তবে সমাজমাধ্যমে নেহার ভক্তকুল নজরে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা দু’কোটির গণ্ডি পার করে গিয়েছে।

নেহার বাবা অজিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ২০১৪-র উপনির্বাচন থেকে টানা তিন বার ভাগলপুর বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন তিনি। অজয় শনিবার বলেন, ‘‘বিহারে মহাগঠবন্ধনের শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রফা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ভাগলপুর লোকসভা আসনটি কংগ্রেসের পাওয়া উচিত। কারণ এটি আমাদের শক্ত ঘাঁটি। যদি আমরা এই আসনটি পাই, তবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তা দলের হাই কমান্ড ঠিক করবে। যদি দল আমাকে প্রশ্ন করে বলব, আমার মেয়ে নেহা শর্মা এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’’

ভাগলপুর লোকসভা আসনে অবশ্য ১৯৮৪-র পরে কখনও জিততে পারেনি কংগ্রেস। ইউপিএ জমানা থেকে বিহারে তাদের সহযোগী দল আরজেডি ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। এ বার ভাগলপুর আসনটির জন্য লালুপ্রসাদের দলের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। লালু-পুত্র তেজস্বী শনিবার বলেন, ‘‘আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই আমাদের জোটের আসন রফা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’ ভাগলপুরের আসন থেকে নেহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না তাই দেখার।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 BanglarBibek
Customized BY NewsTheme