তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে রহিমা খাতুন (৩৮) নামের দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার গঙ্গারামপুর বলদীপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রহিমা খাতুন ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তার ১২ ও সাত বছর বয়সী দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় রহিমা খাতুনের বাবা আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
রহিমার স্বামী আশরাফুল ইসলাম (৪৫) ও সতীন মোসলেমা বেগমকে (৩৫) মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তারা।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকালে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ১৮ বছর আগে উপজেলার গঙ্গারামপুর বলদীপাড়া এলাকার মৃত ওয়াসিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার মালবান্ধা শাল্লাপাড়া এলাকার আফতাব উদ্দিনের মেয়ে রহিমা খাতুনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির ১২ ও সাত বছরের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন রহিমা খাতুন। একপর্যায়ে অনুমতি ছাড়াই তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছায়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মারধর করে রাহিমা খাতুনকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেন আশরাফুল।
ওসি আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে সালিশের পর রহিমা খাতুনকে স্বামীর বাড়িতে রেখে আসেন স্বজনরা। পারিবারিক বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী ও সতীন মিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বাংলার বিবেক ডট কম – ৬ নভেম্বর, ২০২০
Leave a Reply