আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই মহামারির মধ্যে এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল নিয়ে কাজ করছে চিন। দেশে শিশুদের জন্ম বাড়ানোর জন্য নতুন নীতি নিয়েছে চিন। চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, চিনে বয়স্ক জনসংখ্যা বাড়ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, শিশুদের জন্ম দেওয়ার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
চায়না ডেইলি’র রিপোর্ট মোতাবেক চিনে প্রবীণদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একই সঙ্গে অন্যান্য দেশের মতো চিনও এখন অবধি করোনা প্রকোপ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চিনে করোনা ভাইরাসের কারণে ৪৬৩৪ জন মারা গেছে। যা কিনা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের থেকে অনেক কম।
চিনা সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট জানাচ্ছে, বর্তমানে চিন সেই দম্পতিদের আর্থিক সহায়তা দিতে চলেছে যারা আরও শিশুর জন্ম দিতে চলেছে। রয়টার্সের একটি রিপোর্টে বলা আছে, চিনা পপুলেশন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইউয়ান জানিয়েছে, জনসংখ্যা-সম্পর্কিত একটি উন্নত নীতি চালু করা হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, চিন শিশুদের জন্মে জোর দিচ্ছে,যাতে দেশে যুবকের কোনও অভাব না হয়। কারণ চিনে মানুষের বার্ধক্যের গতি খুব বেশি।
১৯৭৮ সালে চিন ‘এক বাচ্চা’র নীতি ঘোষণা করেছিল। এই নীতি লঙ্ঘনকারী দম্পতিদের জরিমানাও করা হয়। এমনকি তাঁদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হয়। গর্ভপাতও করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে। সেই সময়, চিনের লক্ষ্য ছিল দেশের দারিদ্র্য হ্রাস করা। কারণ চিনে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ২০১৫ সালে চিন এক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৪ নভেম্বর, ২০২০
Leave a Reply