স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে গৃহকর্তার সরল বিশ্বাসের সুযোগে কাজ নেয়ার মাত্র চারদিনের মাথায় ১০ লাখ টাকা ও প্রায় ৭ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণ।
ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। কি ঘটেছিলো সেদিন তা পুনঃনির্মানের চেষ্টা করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গত ১৬ই নভেম্বর বেসরকারি চাকরিজীবী মো. লিটনের পরিবারে কাজ নিয়ে মাত্র চারদিনের মাথায় ১০ লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সে।
বিলকিস বলেন, ‘ম্যাডামে বাইরে যাওয়ার সময় আলমারি খুলে টাকা বের করেছে। তখন টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পর আমি এটা খুলছি এবং ভাবছি এটার ভেতর টাকা আছে। এবং খুলে দেখি এইটার ভেতর টাকা।’
ভাটারা থানায় বিলকিসকে আসামি করে লিটন মামলা করলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুদিনের অভিযানে গ্রেফতার হয় বিলকিস। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা বিলকিসের পরিবারের সদস্যরা জানান, এমন অপরাধে বেশ কয়েকবার আটক করা হয়েছিলো তাকে।
বিলকিসের ভাই বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করে টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে আসে এ কারণে দুবার তিনবার গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। এবারও সে আরেকজনের বাসা থেকে অনেকগুলো টাকা নিয়ে আসছে। এখন আবার স্বর্ণালংকার টাকা পয়সা নিছে তাই আমাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে আসছে।’
লিটনের স্ত্রী বলেন, ‘দুটা দিন পর ওর ভোটার আইডি কার্ড আর নাম্বারটা আমি নিব। নাম্বারটা যখন নেই তখন বলে মোবাইল নষ্ট। মাগরিবের আযানের সময় আমি বাসায় এসে দেখি বাচ্চারা ওখানে খেলতেছে। আমার রুমে গিয়ে দেখি আমার আলমারির দরজা খোলা। ওই খোলা দরজায় হাত দিয়ে দেখি ভেতরের ড্রয়ারও খোলা। তখন ভেতরে দেখি যা টাকা ছিল অলংকার ছিল কিছুই নাই।’
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আরো কোন চুরির ঘটনার সঙ্গে বিলকিস জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এর উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ‘আমাদের কাছে সে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে ইতিপূর্বে এরকম আরও অনেক অপরাধ সে করেছে।
বাসাবাড়িতে গৃহস্থালীর কাজ নিয়ে এমন অপরাধ করার সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলার বিবেক ডট কম – ২৬ নভেম্বর, ২০২০
Leave a Reply