বিনোদন ডেস্ক : গাঁটছড়া বাঁধলেন উদিত নারায়ণের ছেলে তথা গায়ক আদিত্য নারায়ন। বহু বছরের বান্ধবী শ্বেতা আগারওয়াল কে বিয়ে করলেন তিনি। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান তেমন জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না বললেও চলে। ঘনিষ্ঠ জন ও পরিবারের সঙ্গেই মুম্বইয়ের ইসকন মন্দিরে বিয়ে করলেন আদিত্য নারায়ন। কোভিদ ১৯ এর কথা মাথায় রেখেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুধু পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কম সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকলেও আনন্দে কোন ঘাটতি ছিল না। ছেলের বিয়েতে যথেষ্টই আনন্দ করেছেন অদিত নারায়ন এবং দীপা নারায়ন। ছেলের বিয়ের বারাত -এ খুব হইহই করে নেচেছেন তারা। সেক্স ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
বিয়ের জন্য আদিত্য ও শ্বেতা দুজনেই বেছে নিয়েছেন আইভরি রংয়ের শেরওয়ানি ও লেহেঙ্গা চলি। তাদের বিয়ের সাজে মুগ্ধ হয়েছেন অনুরাগীরা। এর আগে প্রি ওয়েডিং বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন আদিত্য। বিয়ের আগে হয়েছে হলদি ও মেহেন্দি অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত শাপিত ছবির সময় থেকে আদিত্যর সঙ্গে শ্বেতার আলাপ। এরপর তারা ১০ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন। আদিত্য কিছু সব ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “আমাদের বিয়ে হচ্ছে! আমি খুব সৌভাগ্যবান যে শ্বেতাকে খুজে পেয়েছি ১১ বছর আগে। অবশেষে ডিসেম্বরে আমরা বিয়ে করছি। আমরা ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিলাম।”
দৈনিক ভাস্কর এর এক সাক্ষাৎকারে উদিত নারায়ন বলেছিলেন, তিনি বহুদিন ধরে শ্বেতাকে আদিত্যের বন্ধু হিসেবেই চেনেন। গায়কের কথায়, “আমি বহুদিন আগে থেকেই শ্বেতাকে চিনি। কিন্তু শুধুমাত্র আর ছেলের বন্ধু হিসেবে। আদিত্য একদিন আমার কাছে এসে বললো সে শ্বেতাকে বিয়ে করতে চায়। আমি আদিত্যকে এটাই বললাম যে কোনও সমস্যা হলে পরে মা বাবাকে দোষ দিও না।”
বিশেষ করে ছেলের বিয়ে মন্দিরে হবে, এই নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না উদিত নারায়ন। তিনি চেয়েছিলেন মানুষের সমাগমে ঘটা করে ছেলের বিয়ে দেবেন। কিন্তু বর্তমানে কভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদিত্য।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে আদিত্য এক সাক্ষাৎকারে জানান, লক ডাউন এর ফলে তাঁর হাতে বেশি টাকা নেই। তিনি বলেছিলেন, “এরপরে লকডাউনের সময়সীমা যদি আরো বাড়ানো হয় তাহলে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে। আমার সমস্ত সেভিংস খরচ হয়ে গিয়েছে। আক্ষরিক অর্থেই সমস্ত জমানো টাকা শেষ। মিউচুয়াল ফান্ডে যে টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম, সেগুলিও তুলে ফেলতে হয়েছে। কারণ আমরা কেউ ভাবিনি যে আমি একবছর কোনো কাজ না করেও স্বাভাবিকভাবে দিন কাটাবো। কোটিপতি ছাড়া কেউ এভাবে ভাবে না। তাই আর কোন উপায় নেই। আমার অ্যাকাউন্টে আর মাত্র ১৮ হাজার টাকা পড়ে রয়েছে।”
বাংলার বিবেক ডট কম – ২ ডিসেম্বর, ২০২০
Leave a Reply