রাজশাহী অফিস: বদলীর তিন মাস পেরুলেও মতিহার থানাতেই বহাল তবিয়্যতে রয়েছেন এসআই সাহাবুল। অভিযোগের শেষ নেই এই এসআইয়ের বিরুদ্ধে। মাদকারবারীদের সাথে সখ্যতা, মাসোহারা ও হপতা আদায়, মাদকাশক্তদের ধরে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকের হাট মতিহার থানাধিন জাহাজঘাট, ডাসমারী এলাকা, মিজানের মোড় এলাকার চিহ্নিত মাদক-কারবারীদের সাথে গোপন সখ্যতা রয়েছে এসআই সাহাবুলের।
এছাড়াও বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়মিত মাসোহারা পেয়ে থাকেন তিনি। ফলে এই সকল এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী পালা, জামাল, জাকা, ইয়াসিন, মনিরুল, আসলামসহ একাধিক মাদক-কারবারীরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকেই তাদের মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের আড়াল করতে মাদকাশক্ত ক্ষুদ্র মাদক কারবারীদের ধরে ইয়াবা হোরোইন ও গাঁজার মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করছেন তিনি। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এসআই সাহাবুলের দেয়া মামলার আসামীদের মধ্যে অধিকাংশ মামলাই হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজার। তাহলে ফেনসিডিল কারবারীরা কোথায় ? এমননি প্রশ্ন স্থানীয়দের।
সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতী দুইজন যুবককে আটকের পর ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করে তাদের মুক্তি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে এসআই সাহাবুলের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে এসআই সাহাবুলের যে বদনাম শোনা যাচ্ছে। তা পুরো মতিহার থানার আর কোন পুলিশের নামে শোনা যায় না। এ নিয়ে উপরে রিপোর্ট পাঠানোর কথাও বলেন তিনি।
বাংলার বিবেক.ডট কম-০৪ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply